• অভিযোগ দিয়ে শুরু করি?
বেশ...
• রিয়েলিটি শো নিয়ে একটা অভিযোগ — কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরোলেই পাজি। শো শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিযোগীদের আর কেউ মনে রাখে না...
(কথা থামিয়ে দিয়ে) আমার ক্ষেত্রে তো এ অভিযোগ টিকবে না। আমি অন্য শোয়ের জাজদের মতো শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে হাত ধুয়ে ফেলি না। ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ করার সময়ই কথাটা মাথায় এসেছিল যে, শো শেষ হওয়ার পর কন্টেস্টটেন্টদের কী হবে? যে জিতল সে না হয় একটা প্ল্যাটফর্ম পেল। কিন্তু বাকিরা? তাই ‘ডিআইডি’-র প্রতিযোগীদের নিয়ে একটা ছবি করার প্রোপোজাল দিই। তখন অনেকেই বলেছিল আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু প্রযোজকদের পাশে পেয়েছিলাম। বানিয়ে ফেললাম ‘এনিবডি ক্যান ডান্স’। কুড়ি কোটির ছবি আশি কোটির ব্যবসা করেছিল।
• আচ্ছা, প্রতিযোগীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া কি নিজের স্ট্রাগলের কথা মনে করে?
সেটা তো মাথায় ছিলই। দ্যট ওয়াজ আ রোলার কোস্টার রাইড। ভাবুন একবার, কোনও ট্রেনিং নেই।
কাউকে চিনি না বোম্বেতে। থাকার মধ্যে আছে শুধু স্বপ্ন — হিন্দি ছবিতে নাচব। হায়ার সেকেন্ডারির পর বুঝলাম পড়াশোনা আমার জন্য নয়। ব্যস, টিকিট কেটে ফেললাম জামনগর টু বোম্বে। প্রথম দু’মাস একটা ঝুপড়িতে থাকতাম। খাওয়ার কথা তো ছেড়েই দিন।
• কেউ সাহায্য করেনি?
কে কাকে সাহায্য করবে? বোম্বে সব সময় ছুটছে। কেউ অন্যের সাহায্যের জন্য পিছন ফিরে তাকায় না। তবে হ্যাঁ, ট্যালেন্টের মর্যাদা দিতে জানে। দু’জায়গায় নাচ শেখাতাম। প্রথম অডিশন দিলাম রামগোপাল বর্মার ‘রঙ্গিলা’য়। আহমেদ ভাই (কোরিওগ্রাফার আহমেদ খান) আমার কালো চেহারা দেখেই বাদ দিয়ে দিল। ওর অ্যাসিস্ট্যান্ট আমায় চিনত। কোনও মতে অডিশনে পৌঁছলাম। বললাম না, মুম্বই ট্যালেন্ট চেনে। চান্স পেলাম ‘আই রে আই রে’ গানটায়।
এক বছর আহমেদ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার পর সোনু নিগমের একটা অ্যালবাম করলাম। সেটা হিট করে গেল। ব্যস, আর কষ্ট করতে হয়নি।
• আর এ বছর ‘বাজিরাও মস্তানি’র কোরিওগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন শুনে প্রথম কাকে ফোন করেছিলেন?
হুমম... চার্নি রোডে যাঁদের বাড়িতে থাকতাম। বোম্বে এসে প্রথমে ওঁদের বাড়িতে উঠেছিলাম। এক বন্ধু ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। ছ’মাস কোনও টাকা দিতে পারিনি ওঁদের। ওই সাহায্যটা না পেলে জাতীয় পুরস্কার তো দূর, বলিউডেই আসা হত না।
• শুনেছি সঞ্জয় লীলা বনশালির সঙ্গে কাজ করা খুব শক্ত। আপনি নাকি মাঝপথে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন....
মাঝপথে ছেড়ে দিতে চাওয়াটা গুজব। তবে ঝামেলা হত খুব। আসলে উনি এত পারফেকশনিস্ট যে সবার সঙ্গেই ঝামেলা হবে (হাসি)। গানের শ্যুট নিয়ে তো আরও বেশি। এক একটা শট সাঁইত্রিশবার করে টেক হত। কোথাও এক চুল এ দিক-ও দিক হওয়ার জো নেই। একজনের কাছে শুনেছিলাম, আমি ‘পিঙ্গা’ গানটা শ্যুট করার পর, উনি তাতে খুশি না হয়ে আবার করে শ্যুট করছেন। ওকে ফোন করেছিলাম। উনি বললেন, ‘‘রেমো, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ?’’ ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে ওই পাগলামিটা দরকার ছিল।
• ‘আ ফ্লাইং জাট’ তো তৈরি?
হ্যাঁ, অগস্টে রিলিজ। টাইগার শ্রফকে দেখবেন একদম অন্য চেহারায়।
• অনেকে কিন্তু এ ছবির লুকের সঙ্গে ‘কৃষ’য়ের খুব মিল খুঁজে পাচ্ছেন!
আরে সে তো যে কোনও সুপারহিরো ফিল্মের সঙ্গে অন্য একটা সুপারহিরো ছবির মিল পাবেন। এই ছবি কোনও ভাবেই ‘কৃষ’য়ের কপি না — এটা লিখে দিতে পারি।
• এর পরের প্ল্যানটা কী?
বলিউডে প্ল্যান করে কিছু হয় না, এটা বুঝে গিয়েছি। তাই প্ল্যান করা বন্ধ করে দিয়েছি। এটুকু শিওর, স্টার প্লাসের ‘ডান্স প্লাস’ শোয়ের প্রতিযোগীদের নিয়ে ‘এবিসিডি থ্রি’ বানাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy