প্রসেনজিতের সঙ্গে সিদ্ধার্থ
প্রবল বৃষ্টির জন্য ‘কে হবে বাংলার কোটিপতি’র সাংবাদিক সম্মেলনে মুম্বই থেকে উড়ে আসতে পারলেন না এই রিয়্যালিটি শোয়ের কুইজ় মাস্টার সিদ্ধার্থ বসু। কিন্তু তাতে কী! টেলিফোনেই আড্ডা দিলেন আনন্দ প্লাসের সঙ্গে। প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শুরু হওয়ার আগে তিনি বললেন, ‘‘আমি কিন্তু বাংলা বলতে পারি। কলকাতার বাইরে বড় হয়েছি বটে, কিন্তু আফটার অল বাঙালি ছেলে তো!’’ অন্তত তিনটে গুণ, যা এক জন ভাল কুইজ় মাস্টার মধ্যে থাকতেই হবে? ‘‘এক, ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা। দুই, ভাল ব্যবহার এবং একটা নাটকীয় আবহ তৈরি করার ক্ষমতা থাকা চাই।’’ এই তিনটে গুণ কি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে আছে?
‘‘শো দেখার পরে সেটা আপনারাই বলবেন,’’ হেসে জবাব দিলেন সিদ্ধার্থ। তাঁর চোখে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সেরা হোস্ট অমিতাভ বচ্চন। ‘‘এক কথায় অমিতাভ বচ্চন হলেন ক্লাসিক, শাহরুখ খান রোম্যান্টিক।’’ আর প্রসেনজিৎ? ‘‘বুম্বার ডেডিকেশনে আমি মুগ্ধ! ট্রেনিংয়ের সময়ে ও নিজের বাড়িতে ‘কেবিসি’র সেটআপ তৈরি করে নিয়েছিল। সময় পেলেই প্র্যাকটিস করত।’’ বোঝাই যাচ্ছে, প্রসেনজিৎকে নিয়ে বেশ আশাবাদী সিদ্ধার্থ। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন, ‘কেবিসি’ শুধু মাত্র একটা কুইজ় কনটেস্ট নয়। এখানে এসে মানুষের ভাগ্য ঘুরে যায়। তাই শুধু প্রশ্নপত্র নয়, নাটকীয় পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অনেক কিছুই ভাবতে হয়।
আর সে ভাবেই তৈরি করা হয়েছে প্রসেনজিৎকে। হবু কোটিপতিরা নিজেদের কী ভাবে তৈরি করবেন? ‘‘পড়ার বইয়ের বাইরে বই পড়তে হয়। বই, খবরের কাগজ, ম্যাগাজ়িন যা হাতের কাছে পাবেন, পড়ে ফেলুন। শুধু পড়া নয়, সব সময়ই চোখ খোলা রাখবেন, মন খোলা রাখবেন।’’ হিন্দির বাইরে প্রায় ন’টা আঞ্চলিক ভাষায় এই রিয়্যালিটি শো হয়েছে। কিন্তু আট বছর পরে মাতৃভাষায় আবার এই শো শুরু হওয়ায় সিদ্ধার্থ বসুর উৎসাহ যেন একটু বেশিই। তা তাঁর কণ্ঠের উচ্ছ্বাসেই প্রকাশ পেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy