অনিল কপূর
প্রায় প্রত্যেক ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছেন। ‘‘এ বার যাওয়া হল না বলে মনটা বেশ খুঁতখুঁত করছে,’’ স্পষ্ট স্বীকারোক্তি তাঁর। নতুন ছবি ‘মুবারকাঁ’ মুক্তির আগের সপ্তাহে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে কথা বলছিলেন অনিল কপূর। তবে সাক্ষাৎকারের সময় নায়কের পা বরফজলে ডোবানো!
বলিউডের যুবকের হলটা কী? ‘‘আরে, বয়স তো হচ্ছে। গত বছর ষাট পার করলাম। এত নাচানাচি শরীরে দেয় নাকি!’’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন অনিল। তবে তিনি আর শুধু বলিউডে আটকে নেই। ‘স্লামডগ মিলিওনেয়র’ তাঁকে হলিউডেও জায়গা করে দিয়েছিল। আর তাতেও থেমে যাননি অনিল কপূর। হলিউডি টিভি সিরিজের স্বত্ব কিনে তার হিন্দি রূপান্তর করেছেন। ‘টোয়েন্টি ফোর’-এর পর এ বার কিনেছেন ‘মডার্ন ফ্যামিলি’। তবে সেই টিভি সিরিজে যেমন সমকামী সম্পর্ক দেখানো হয়েছে, ভারতীয় টেলিভিশনে তিনি সেটা দেখাতে পারবেন কি?
উত্তেজিত হয়ে উঠলেন অনিল, ‘‘কেন নয়? ভারতীয় সংস্কৃতি এত প্রোগ্রেসিভ, এত বোল্ড... অথচ এখন যেন সবাই কুয়োর ব্যাং হয়ে বসে আছি। এমন অনেক কিছু ভারতীয় সাহিত্যে আছে, যেগুলো সে সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। নিজেরা চোখে ঠুলি পরে বসে থেকে তো লাভ নেই।’’
শেষ কথাগুলো কি সেন্সর কর্তার উদ্দেশে বললেন? ‘‘আরে, না, না। আমরা আসলে সব কিছু নিয়েই বড্ড বেশি হইচই করি। আমরা কথায় কথায় আমেরিকার উদাহরণ টানি। আরে ভাই, আমেরিকার সেন্সর শুধু সার্টিফিকেট দেয় ঠিক কথা। ব্রিটিশ সেন্সর বোর্ড কিন্তু ‘কাট’য়ের নির্দেশও দেয়। সেটা পরিচালক-প্রযোজকরা মেনেও নেন। কোনও কিছুকে সেন্সেশনালাইজ না করলেই তো হল,’’ সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এল তাঁর কাছ থেকে। পোশাক-ফ্যাশন নিয়ে মেয়ে সোনম কপূরের থেকে যে নিয়মিত টিপস নেন, সেটা স্বীকার করলেন একবাক্যে। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও সুস্থ বিয়ে টিকিয়ে রাখার টিপস কী, তাও এল মুহূর্তের মধ্যে, ‘‘আমি বেশ বুদ্ধিমান।’’
কিন্তু অভিনয়ের ব্যাপারে মেয়ে রিয়া, সোনম বা ছেলে হর্ষবর্ধন কি বাবার টিপস নেন? ‘‘ধুর, আমি কী টিপস দেব! এ ব্যাপারে আমি ভীষণ স্বার্থপর। আমি শুধু নিতেই জানি। আর অল্পবয়সিদের থেকে টিপস না নিলে তো এই সময়ে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারব না,’’ হেসে বলেন অনিল কপূর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy