Advertisement
১০ মে ২০২৪

‘এখন আমার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে’

নতুন বোল্ড ইমেজ নিয়ে বলছেন প্রিয়ঙ্কা সরকার। তাঁর সামনে আনন্দ প্লাসনতুন বোল্ড ইমেজ নিয়ে বলছেন প্রিয়ঙ্কা সরকার। তাঁর সামনে আনন্দ প্লাস

প্রিয়ঙ্কা। ছবি: তথাগত ঘোষ

প্রিয়ঙ্কা। ছবি: তথাগত ঘোষ

অন্তরা মজুমদার
শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪৬
Share: Save:

প্র: আপনি তো খুব ব্যস্ত

দেখছি। ফোন ধরছেন না, টেক্সটের রিপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে না। শিডিউল কেমন যাচ্ছে?

উ: (খিলখিল করে হাসি) অতটাও ব্যস্ত নই। তবে স্কোপ রয়েছে ব্যস্ত হওয়ার। শুটে থাকলে ফোন ধরব কী করে! কিন্তু কল ব্যাক তো করি, বলুন? আর কাজটাজ না থাকলে বাড়িতেই থাকি বেশির ভাগ। সহজের সঙ্গে। জিম করি। গরম পড়ে গিয়েছে, তাই সুইমিং করছি।

প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানীং রিভিলিং পোশাকে বোল্ড ছবি পোস্ট করছেন। ইমেজ বদলানোর প্রয়োজনে?

উ: আমি একটা প্রশ্ন করি। এটা পজ়িটিভ না নেগেটিভ?

প্র: নেগেটিভ তো বলব না। কিন্তু পজ়িটিভ কি না, আপনিই বলুন।

উ: আমার কাছে পজ়িটিভ! আগে এক রকম ছিলাম। এখন আমার মধ্যে চেহারার কারণে একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে। এই ধরনের পোশাক ক্যারি করতে অসুবিধে হয় না। একটা সময়ে ভীষণ স্ট্যাগন্যান্ট হয়ে যাচ্ছিলাম। প্রেগন্যান্সি বা বাজে লাইফস্টাইল, যে কারণেই হোক। সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। যে ধরনের পোশাক পরলে আমাকে দেখতে ভাল লাগে, সেগুলো পরার সাহস দেখাতে পারি। তবে চেহারার চেয়েও এখন নিজের ফিটনেসটা ঠিক রাখা আমার পার্সোনাল গোল।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্র: ইনস্টাগ্রামে খারাপ কমেন্ট এলে ভেঙে পড়েন?

উ: পাত্তা দিই না। কিন্তু কমেন্টগুলো পড়ি। কে কী বলছে, সেটা জানা প্রয়োজন। আর খেয়াল রাখি, যাতে নেগেটিভ কমেন্ট আমাকে ডিমোটিভেট না করতে পারে।

প্র: গত বছর প্রায় প্রত্যেকটা বাংলা ছবিতে আপনি ছিলেন। এ বছর এখনও পর্যন্ত দুটো ছবি। এ বার কি ধীরে এগোবেন?

উ: সেটাই চেষ্টা করছি। আগের বছর যখন পরপর ছবি করলাম, আপনারাই জিজ্ঞেস করছিলেন, কেন ফিল্টার না করে এত বেশি কাজ করছি। তাই মনে হল, একটু বেছে কাজ করাটাই এখন ভাল।

প্র: সিনেমার পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাবের সঙ্গে আপনি জড়িত। তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য পি আর থেকে শুরু করে প্রচার সবই করেন। এটা কি আপনার কেরিয়ারে কোনও ভাবে সাহায্য করছে?

উ: এগুলো এমন জিনিস যেগুলো পার্সোনালি করি। তার সঙ্গে কেরিয়ারের যোগাযোগ নেই। দু’বছর আগে দুর্গাপুজোয় আমার বন্ধু তথাগত (ঘোষ) ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করায়। ওই ক্লাবের ফেস আমি। কিছু কনট্যাক্ট রয়েছে। তাই ক্লাবের মহিলারা মিলে পিঠে-পুলি উৎসব শুরু করেছি। যা বিক্রি হয়, তার পুরোটাই যায় চ্যারিটিতে। ক্লাবের এ রকম অনেক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই আমি জড়িত। আগে আমি কখনও এই ধরনের অ্যাক্টিভিটিতে অংশ নিইনি। নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে যে একটা কিছু করা যায়, সেটা এখানে এসেই পেরেছি। ওখানে দোলের দিনের প্রভাত ফেরি, নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— এগুলো খুব এনজয় করি। প্ল্যান করেছি, সহজকে ওখানে ফুটবলে ভর্তি করিয়ে দেব। ক্লাবটা এখন আমার জীবনের একটা অংশ।

প্র: তথাগতর সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা কি সামনে আনবেন না?

উ: তথাগত আমার বেস্টফ্রেন্ড। এটাই অফিশিয়াল সম্পর্ক।

প্র: নিজের শর্তে জীবন কাটাচ্ছেন। কিন্তু অনেক কথাও তো রটে ইন্ডাস্ট্রিতে...

উ: এই তো দোলের দিন বাড়িতেই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রং খেলার ব্যবস্থা করেছিলাম। সহজও ছিল। চুটিয়ে রং খেলেছি, প্রভাত ফেরি করেছি... তবে সহজ তো এখন বড় হচ্ছে, তাই ওর সঙ্গে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিই না। সেই দিনের ছবিগুলোও দিইনি। তাতে কিছু মানুষের মনে হল, সহজকে বাদ দিয়ে নাকি আমি সব করেছি। এবং সেটা ‘নোংরামি’ করেছি! একটা সেকেন্ডের একটা স্ন্যাপশট দেখে লোকে এত কথা বলছে। বাকি দিনটায় আমি কী করছি, সে সম্পর্কে ধারণাটুকুও নেই। যাই হোক, আমি কোনও কিছুকেই এখন নেগেটিভ হিসেবে নিচ্ছি না। এগুলোকেও না। কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই আমার।

মেকআপ: সুমন গঙ্গোপাধ্যায়

স্টাইলিং: সৃজনী চক্রবর্তী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE