মার্ভেল সুপারহিরোদের মধ্যে এক জন সুপারহিরোইনেরই যা অভাব ছিল। অ্যাভেঞ্জারদের টিমে ব্ল্যাক উইডো অবশ্য আছে। কিন্তু সোলো ছবিতে ডিসি-র ওয়ান্ডার ওম্যানকে টেক্কা দেওয়ার মতো এক জনকে দরকার ছিল। সেই ফাঁকটাই পূরণ করল ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’। ব্রি লার্সনের চরিত্রটি, ফোটোন ব্লাস্টের শক্তিতে শত্রুদের যে ভাবে দু’হাতে দুরমুশ করে, নারীদিবসের আবহে তা বেশ ভালই লাগবে!
ছবিটি নারী ক্ষমতায়নের বিষয়টি গুছিয়ে বলেছে। খুদে মেয়েরা কেন হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখবে না? হিরোর সংজ্ঞাটা যে শুধু ছেলেদের জন্যই বরাদ্দ, সেটা কে ঠিক করল? সুপারহিরো হওয়ার আগে ক্যাপ্টেন মার্ভেল বা ক্যারলকেও স্টিরিওটাইপের থাপ্পড় খেতে হয়েছে বইকি! মেয়েরা আবার রেসিং কার চালাতে পারে নাকি? মেয়েরা আবার আর্মিতে কী জয়েন করবে! মেয়েরা চালাবে ফাইটার প্লেন? এ সব বক্রোক্তি পেরোতে প্রতিটা মেয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেও কী ভাবে উঠে দাঁড়ায়, তারও একটা ইন্সপায়ারিং গল্প বলে এ ছবি।
ক্যাপ্টেন মার্ভেল পরিচালনা: অ্যানা বোডেন, রায়ান ফ্লেক অভিনয়: ব্রি, জুড, স্যামুয়েল ৬/১০
তবে শুরুর দিকটা বড্ড হুড়োহুড়ি করে অনেকটা তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতি ধরে রাখায় ছন্দটা ফিরেও পেয়েছে প্রথমার্ধেই। স্ট্যান লি-কে ট্রিবিউট জানানোর দৃশ্য দেখে হাততালির আওয়াজে কান পাতা দায়! ফাইট সিকোয়েন্সগুলোও থ্রিডি-তে দেখে চমকাবেন! তবে ক্যাপ্টেন মার্ভেলের মেন্টর ইয়ন রগ (জুড ল) যখন শত্রুরূপে তার সামনে দাঁড়ায়, একটু জোলোই লাগে! দর্শক অবশ্য মজা পাবেন স্যামুয়েল এল জ্যাকসনের সঙ্গে ব্রিয়ের ঠাট্টামূলক সংলাপ বিনিময়ে। সব মিলিয়ে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’-এর ধরতাই হিসেবে ক্যাপ্টেন মার্ভেলকে নম্বর দিতেই হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy