Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Presents

খেয়াল রাখুন

জানেন কি বাড়ি কিনতে ইপিএফের টাকা তোলা যায়? আছে জীবনবিমার সুবিধা? ধার মেলে পিপিএফ থেকেও? আসুন, চেনা পিএফ-কেই খুঁটিয়ে দেখি।চাকরি করা হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। ভাড়া বাড়ি ছাড়তে অম্লান এখন ফ্ল্যাটের খোঁজে হন্যে। মাসিক কিস্তি (ই এম আই) যা-ও বা কোনও মতে জোগাড় করা যাচ্ছে, সমস্যা পাকাচ্ছে ডাউনপেমেন্ট। কিছুতেই আর লাখ দু’য়েকের ঘাটতি মেটানো যাচ্ছে না সেখানে। তখনই কথাটা বলেছিলেন এক সহকর্মী। “কেন পিএফ-এর টাকা তুলতে পারিস তো!”

শৈবাল বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:১২
Share: Save:

চাকরি করা হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। ভাড়া বাড়ি ছাড়তে অম্লান এখন ফ্ল্যাটের খোঁজে হন্যে। মাসিক কিস্তি (ই এম আই) যা-ও বা কোনও মতে জোগাড় করা যাচ্ছে, সমস্যা পাকাচ্ছে ডাউনপেমেন্ট। কিছুতেই আর লাখ দু’য়েকের ঘাটতি মেটানো যাচ্ছে না সেখানে। তখনই কথাটা বলেছিলেন এক সহকর্মী। “কেন পিএফ-এর টাকা তুলতে পারিস তো!”

এমনিতে পিএফ বা প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে কথা বলি আমরা। কিন্তু সাধারণত মাস গেলে মাইনের সময়ে পে-স্লিপে খুদে হরফে লেখা টাকার অঙ্ক ছাড়া খুব একটা কিছু মনে থাকে না এই প্রকল্পটি সম্পর্কে। অথচ অবসরের পরে মোটা তহবিল হাতে পাওয়াই বলুন বা ফ্ল্যাট-বাড়ির ডাউনপেমেন্ট, চিকিত্‌সার মতো হঠাত্‌ প্রয়োজনে টাকা জোগাড়ের পথ এই সমস্ত ক্ষেত্রেই ইপিএফ কিন্তু আমাদের বড় ভরসার জায়গা। তার সঙ্গে নিজে থেকে এই প্রকল্পে আরও বেশি টাকা রাখার সুযোগও রয়েছে আমাদের সামনে। যার নাম ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড (ভিপিএফ)। এই দুইয়ে মিলে কিন্তু মোটা টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সব থেকে বড় কথা, এই দুই ক্ষেত্রেই বেতন থেকে কেটে নেওয়া টাকা ও রিটার্ন পুরোপুরি করমুক্ত।

চাকরি ছাড়াই পিএফ

আমরা ভাবি পিএফ এবং পেনশন শুধুমাত্র চাকরি করা মানুষদের জন্য। কিন্তু এমন হতেই পারে যে, চাকরি আছে, অথচ পিএফ নেই। বা থাকলেও তার অঙ্ক নেহাতই কম। অনেকে আবার ডাক্তারি, আইনের মতো বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের জন্যও কিন্তু অবসরের তহবিল গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে। তবে স্বাভাবিক ভাবেই সংস্থায় নয়। নিজের উদ্যোগে। ডাকঘর অথবা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে। প্রকল্পের নাম পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ। আজ এই তিন ধরনের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়েই আলোচনায় বসব।

শুধু তা-ই নয়, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ইপিএফ সংশোধনী বিল আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। লক্ষ্য, আরও বেশি মানুষকে আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া। একই সঙ্গে, পিপিএফের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিবর্তনের কথাও ভাবনা-চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তাই তার আগে আজ চলুন আমরা চোখ রাখি এই প্রকল্পগুলির দিকে। দেখে নিই কোনটির কী বৈশিষ্ট্য। তাদের সুবিধা-অসুবিধাই বা কী?

ইপিএফ

কর্মীদের ভবিষ্যত্‌ সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রের চালু করা প্রকল্প। পুরো নাম এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড। সংক্ষেপে ইপিএফ। সাধারণ ভাবে কোনও সংস্থায় ২০ জন বা তার বেশি কর্মী থাকলেই, তাঁদের ইপিএফ থাকা বাধ্যতামূলক। নিয়ম অনুসারে যে-সব কর্মীর মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতা মিলিয়ে আয় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত, তাঁরাই ইপিএফ প্রকল্পের আওতায় আসেন। অর্থাত্‌ ওই দুই খাতে মোট আয় যদি ২০ হাজারও হয়, তা হলেও পিএফ কাটা হয় ১৫ হাজারের উপর ভিত্তি করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন, সংবাদপত্র ইত্যাদি। এ সব ক্ষেত্রে বেতন ও মহার্ঘ ভাতার অঙ্ক যা-ই হোক না-কেন, তার ভিত্তিতেই পিএফ কাটা হয়।

ইপিএফ থেকে পেনশন

ইপিএফে প্রতি মাসে কর্মীর মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার ১২% টাকা কেটে নেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ (বেশ কয়েকটি শিল্পে অবশ্য ১০% টাকা কাটা হয়)। কর্মীর বেতন থেকে কেটে নেওয়া অর্থের সমপরিমাণ টাকা দেয় সংস্থাও। এই পুরো টাকা জমা হয় সরকারের ঘরে। ইপিএফ খাতে। অবসরের সময়ে সেই টাকা পান কর্মী।

কিন্তু পুরোটাই যে থোক টাকা হিসেবে তাঁর হাতে আসে, তা নয়। কারণ সংস্থা যে-টাকা জমা করে (সাধারণত মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার ১২%), তার মধ্যে নির্দিষ্ট অংশ (৮.৩৩%) প্রথমেই চলে যায় পেনশন খাতে। আর বাকি টাকা (৩.৬৭%) জমা হয় পিএফ খাতে। অর্থাত্‌ কারও মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতা যদি ১,০০০ টাকা হয়, তা হলে সেই টাকার ৮.৩৩% বা ৮৩.৩ টাকা যায় পেনশন খাতে। আর বাকি ৩৬.৭ টাকা যায় পিএফে। এই দু’টি মিলে সংস্থার দেয় টাকার হিসাব হয়। এ ক্ষেত্রে যা ১২০ টাকা বা ১,০০০ টাকার ১২%।

এ বার অবসরের সময়ে কর্মী নিজের ১২% এবং সংস্থার ৩.৬৭% টাকা থোক পান।

আর পেনশন খাতে যে-টাকা যায়, সেখান থেকেই কর্মীর ৫৮ বছর বয়স হওয়ার পরে পেনশন পাওয়া যায়। তা সে তাঁর সংস্থায় অবসরের বয়স যা-ই হোক না কেন।

ইপিএফ থেকে টাকা তোলা

ইপিএফ থেকে সে ভাবে ঋণ নেওয়ার বন্দোবস্ত নেই। তবে প্রয়োজনে টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে, যেমন চাকরির মেয়াদ, বেতন, প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করেই স্থির হবে আপনার তোলা টাকার অঙ্ক।

সুবিধা হল, এই টাকা আর আপনাকে শোধ দিতে হচ্ছে না।

আর অসুবিধা, এক বার পিএফ থেকে টাকা তুলে নিলে, ভবিষ্যতে অবসরের তহবিল কিছুটা কমে যায়। ফলে আগামী দিনে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

ইপিএফ থেকে যে-যে প্রয়োজনে টাকা তোলা যায়, তার মধ্যে রয়েছে নিজের ও সন্তানের পড়াশোনা, নিজের বা নিকট আত্মীয়ের বিয়ে, জমি কেনা, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা, গৃহঋণ শোধ, চিকিত্‌সা সংক্রান্ত খরচ ইত্যাদি।

আপনার জমা করা টাকার নির্দিষ্ট একটি অংশই তুলতে পারা যায়। বিভিন্ন প্রয়োজনে যার পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পুরো টাকা পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই টাকা তোলা বা ঋণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন বিয়ে বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্তত ৭ বছর চাকরি করা বাধ্যতামূলক (একাধিক সংস্থা মিলিয়ে)। একই ভাবে জমি বা বাড়ি কেনা এবং বাড়ির ঋণ শোধের ক্ষেত্রে ৫ বছর চাকরি করতেই হবে। চিকিত্‌সার জন্য অবশ্য এ ধরনের কোনও সময়সীমা নেই।

টাকা তোলার জন্য নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র (যেমন, বিয়ের জন্য কার্ড, পড়াশোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রমাণ)-সহ সংস্থার কাছে আবেদন করতে হয়।

তবে মনে রাখতে হবে, ইপিএফে কেটে নেওয়া টাকা এবং রিটার্ন পুরোটাই থাকে করমুক্ত। কিন্তু যদি মাঝপথে টাকা তোলার সময়ে করছাড় চান, তা হলে কোনও একটি সংস্থায় টানা পাঁচ বছর কাজ করতে হবে।

ইপিএফ থেকে জীবনবিমা

ইপিএফের মধ্যে রয়েছে জীবন-বিমাও। চাকরিরত অবস্থায় কর্মীর মৃত্যু হলে ওই টাকা পায় পরিবার। বিমামূল্য স্থির হয় কত দিন চাকরি করেছেন, বেতনের অঙ্ক ও বয়সের উপর ভিত্তি করে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই বিমামূল্য ৩.৬০ লক্ষ টাকার বেশি হয় না।

বর্তমানে প্রতিটি সংস্থার কাছ থেকে ওই সংস্থায় পিএফের আওতায় থাকা কর্মীদের মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার ০.৫০% টাকা বিমা তহবিলের জন্য কেটে নেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। যা জমা হয় ‘এমপ্লয়িজ ডেথ লিঙ্কড ইনশিওরেন্স’ (ইডিএলআই) তহবিলে। যা থেকে কর্মীর পরিবারকে টাকা দেওয়া হয়।

ভিপিএফ

ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এখানে টাকা রাখতে হলে নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে। সংস্থা বেতন থেকে টাকা কেটে ইপিএফে জমানোর ব্যবস্থা করলেও, ভিপিএফের ক্ষেত্রে আপনাকেই আবেদন করতে হবে। বেতন ও মহার্ঘ ভাতার ১০০% টাকা এই খাতে রাখতে পারেন কোনও কর্মী। ইপিএফে যেমন সংস্থা সমপরিমাণ টাকা জমা দিতে বাধ্য থাকে, ভিপিএফের ক্ষেত্রে কিন্তু তারা কোনও টাকা রাখতে বাধ্য নয়। প্রকল্পটির বাদবাকি নিয়মকানুন, এমনকী করছাড়ও ইপিএফের মতোই। এ জন্য সংস্থার কাছে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। সাধারণ ভাবে সংস্থাগুলি অর্থবর্ষের শুরুতে ভিপিএফ চালুর পরামর্শ দেয়। বছরের মাঝে যা হঠাত্‌ করে বন্ধ করা যায় না। ফলে ভেবেচিন্তে পা ফেলুন। কারণ এক বার ভিপিএফ চালু করলে অন্তত এক বছর তা চালিয়ে যেতে হবে।

পিপিএফ

এখনকার অনেক চাকরিতেই মাস গেলে মোটা বেতন পাওয়া যায়। কিন্তু খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, সেখানে মূল বেতনের অঙ্ক হয়তো তুলনায় অনেকটাই কম। যার ফলে ইপিএফ খাতেও তুলনায় কম টাকা জমা পড়ে। সেই ঘাটতিই পুষিয়ে দিতে পারে পিপিএফ। চাকরি করা মানুষ তো বটেই, পেশাদার ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা, যাঁদের পিএফের সুরক্ষা নেই, তাঁরাও এখানে টাকা রাখতে পারেন।

বৈশিষ্ট্য

ইপিএফ এবং ভিপিএফে টাকা রাখার ব্যবস্থা সংস্থাই করে। কিন্তু পিপিএফে আপনাকে উদ্যোগী হয়ে টাকা জমাতে হবে।

এর জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা যায় ডাকঘর এবং নির্ধারিত ব্যাঙ্কে।

• অবসরের বয়স যা-ই হোক, ইপিএফের পেনশন চালু হয় কর্মী ৫৮ ছুঁলেই

• চাকরি বদলের পরে চাইলেই ইপিএফের পুরো টাকা তোলা যায় না। টানা দু’মাস চাকরি না-থাকলে, তবেই তা তোলা সম্ভব

• ইপিএফে আছে জীবনবিমার সুবিধাও। বিমামূল্য সর্বোচ্চ ৩.৬০ লক্ষ টাকা

• পিপিএফে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছরে ঋণ নেওয়া যায়। সপ্তম বছর থেকে মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত রয়েছে টাকা তোলার সুবিধা

ন্যূনতম মেয়াদ ১৫ বছর। তার পরেও ৫ বছর করে বাড়ানো যায়। চাইলে এই সময়ে কোনও টাকা না-ই রাখতে পারেন আপনি।

পিপিএফের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বছরে মাত্র ৫০০ টাকা রেখেও অ্যাকাউন্ট চালানো যায়।

প্রতি বছর জমা দেওয়া যায় সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা। এক মাসে একাধিকবার দেওয়া গেলেও, বছরে ১২ বারের বেশি টাকা জমা দেওয়া যায় না।

পিপিএফ থেকে ঋণ

প্রকল্পটিতে সুযোগ রয়েছে ঋণ নেওয়ার। তবে তার জন্য প্রকল্প চালুর পর দু’বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক মাত্র তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছর পর্যন্তই ঋণ নেওয়া যাবে। তা-ও নির্দিষ্ট অঙ্কের উপর। যেমন, তৃতীয় বছরে প্রথম বছরে জমানো টাকার ২৫% ঋণ নেওয়া যাবে। চতুর্থ বছরে পাওয়া যাবে প্রথম দু’বছরের ২৫% টাকা।

পিপিএফে যা সুদ পাওয়া যায় (বর্তমানে ৮.৭০%), তার উপর অতিরিক্ত ২% ফেরত দিতে হবে।

কিস্তি মেটাতে হবে ৩৬ মাসের মধ্যে।

একটি ঋণ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এখানে ফের ধার নেওয়া যাবে না।

পিপিএফ থেকে টাকা তোলা

পিপিএফ থেকে প্রয়োজনে টাকা তুলেও নিতে পারেন আপনি। কিন্তু একমাত্র ছ’বছর পূর্ণ হলে তবেই সপ্তম বছর থেকে টাকা তোলা যাবে।

সপ্তম বছরে তোলা যাবে চতুর্থ বছর পর্যন্ত যা টাকা জমবে, তার ৫০%। এ ভাবেই তার পরের বছরগুলির ক্ষেত্রে তোলা টাকার হিসাব হবে।

কিন্তু কখনওই ১৫ বছর মেয়াদের আগে পুরো টাকা তোলা যাবে না।

১৫ বছরের পরেও প্রকল্প চালিয়ে গেলে, টাকা তোলার সুযোগ থাকে।

(লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ,মতামত ব্যক্তিগত)

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন।
ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না। ‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১ | ই-মেল: bishoy@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

saibal biswas epf bishoy ashoy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE