Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ বার শুরু হোক সিঁদুর দিয়েই খেলা ভাঙার খেলা

বিজয়াদশমীতে বিবাহিতা মেয়েদের সিঁদুরখেলা দেখে প্রশ্ন জাগে, এই নারী স-ধবা, অর্থাৎ কোনও পুরুষের অধিকৃত, এই ঘোষণা কি বর্জনীয় নয়? শাঁখা-পলা নোয়া ও সিঁদুর, সবই নারীর অধীনতা ও দাসত্বের প্রতীক। তিলোত্তমা মজুমদারবিজয়াদশমীতে বিবাহিতা মেয়েদের সিঁদুরখেলা দেখে প্রশ্ন জাগে, এই নারী স-ধবা, অর্থাৎ কোনও পুরুষের অধিকৃত, এই ঘোষণা কি বর্জনীয় নয়? শাঁখা-পলা নোয়া ও সিঁদুর, সবই নারীর অধীনতা ও দাসত্বের প্রতীক। তিলোত্তমা মজুমদার

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

সিঁদুরখেলা। বড়ই বর্ণময়, মনোগ্রাহী। এক দীর্ঘায়িত আনন্দোৎসবের রঙিন, উচ্ছল সমাপন। দুর্গাপূজায় মহাদশমীতে দেবীর আরাধনা শেষে আসে বিসর্জন পর্ব। অর্চনাদি, ভোগ নিবেদন, পুষ্পাঞ্জলি ইত্যাদির পর বিসর্জন। মহামায়ার বিদায়কাল। তিনি তখন প্রতিমার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রাণ বিসর্জন করে পতিগৃহ কৈলাসগামিনী। তাই প্রতিমায় নয়, দশমীপূজার পর নিরঞ্জিত দেবীদর্শন হয় জলদর্পণে।

অবশেষে সন্ধ্যায় আসে প্রাণহীন প্রতিমা বাতিল করার পালা। মণ্ডপমঞ্চ থেকে দেবীমূর্তির বিদায়ের আগে করণীয় রীতি-রেওয়াজ কিছু আছে। তার নাম দেবীবরণ। পুরোপুরি বিবাহিত ও সধবা মহিলাদের কার্যক্রম। একটি রেকাবে সিঁদুর, নাড়ু, সন্দেশ, সাজা পান ইত্যাদি নিয়ে উলুধ্বনির সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী-সহ দুর্গামূর্তির মুখে সিঁদুর লেপন, সন্দেশ-নাড়ু-পান গোঁজার চেষ্টা, চরণে শাঁখা-নোয়া ঠেকিয়ে প্রণাম সমাপনান্তে শুরু হয় এক মহাখেলা। এই সময় দেবীর চোখ দু’টি, কারও কারও নজরে অশ্রুসজল মনে হয়। মুখে ঠুসে দেওয়া নাড়ু-সন্দেশের মণ্ড সেই ভুবনমোহিনী সৌন্দর্য হরণ করছে, এই কথাটি মনে থাকে না আর। মায়ের বিদায়ী বাজনার বোল বাজে বটে ঢাকে-ঢোলে। কিন্তু তার বিষণ্ণতা ঢেকে যায় তেল-সিঁদুরের উল্লসিত খেলায়। এয়োতি মেয়েরা পরস্পর সিঁথিতে সিঁদুর ছুঁইয়ে দিয়ে, গালে-গলায় মাখামাখি করবেন। কোথাও গয়না বা বেনারসি পরে খেলার রেওয়াজ, কোথাও সাদা খোলের লাল পাড় শাড়ি। দ্বিতীয়টিই বেশি জনপ্রিয়। মনে রাখতে হবে, এর মধ্যে কেউ ঋতুমতী হলে খেলায় অংশ নেবেন না।

সব খেলারই কিছু নিয়ম থাকে। এ খেলাতেই বা থাকবে না কেন! রজস্বলা থাকলে যেমন মাঠের বাইরে, পূজার কোনও আয়োজনেই তার স্পর্শাধিকার থাকে না, আবার বিধবা নারী পূজায় অংশ নিতে পারলেও সিঁদুরখেলায় তাঁদের অধিকার নেই। কোনও বিধবা ড্যাবডেবিয়ে অন্যদের খেলা দেখলে অনেকেরই মনের ভিতর কুসংস্কারের টিকটিকি টিক-টিক করে ওঠে! তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এই ভেবে, উনি ‘নজর’ দিচ্ছেন। কিসে নজর? এক দল যৌনজীবনের অধিকারিণী, অপর দল যৌনজীবনবঞ্চিতা। শেষ পর্যন্ত খেলাটি সফল যৌনসুখভোগের প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়। সেখানেই সম্পদ আগলে রাখার মনোভাব। যে অন্ধ বিশ্বাস থেকে বিধবা নারীর অধিকার নেই বিয়ের আয়োজনে, নিঃসন্তান নারীর অধিকার নেই সন্তান-সংক্রান্ত সামাজিক অনুষ্ঠানে— এই একই মানস কাজ করে সিঁদুরখেলাতেও। তখন খেলা আর শুদ্ধমাত্র খেলা থাকে না, হয়ে ওঠে উগ্র সংস্কার!

আজকের দিনে, যখন নারীর অধিকার ও সম্মান বলতে পরিপূর্ণ ব্যক্তিমানুষের মর্যাদা বোঝায়, তখনও, বঙ্গসমাজের বৃহত্তম উৎসবে স-ধব নারী বা বি-ধব নারীর শ্রেণীবিভাজন বিবিধ প্রশ্ন ও ভাবনার সামনে গোটা সমাজকেই টেনে আনে।

ধব অর্থ স্বামী। সধবা অর্থাৎ যার স্বামী জীবিত। বিধবা অর্থে স্বামী যার মৃত। যাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে, তাদের কী বলা যায়? নিধবা? সিঁদুরখেলায় তাঁদের অধিকার থাকা উচিত না অনুচিত!

শাঁখা, পলা, নোয়া ও সিঁদুর হিন্দু বিবাহিত নারীর প্রতীক। ভারতের অনেকানেক প্রদেশে হস্তবলয় তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, তার বদলে মঙ্গলসূত্র। সিঁদুরেরও রকমফের আছে, লালের বদলে মেটে সিঁদুর বা কমলা সিঁদুর। উপকরণ যাই হোক, এ সবের গোড়ায় বিশ্বাসটি অভিন্ন। প্রথমত, বিবাহিত হিসাবে চিহ্নায়ণ; দ্বিতীয়ত, শাঁখা-সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পতিধনের আয়ুবৃদ্ধি করবে। তাই হস্তবলয়ে পা লেগে গেলে নমো করতেই হয়। আধুনিকতার জোয়ারে বধূর অঙ্গে জিনস-শার্ট কিন্তু হাতে ও কপালে ধব্য চিহ্ন। কেউ কেউ আপাত বিদ্রোহিনী। সিঁথি ও কপাল স্বাধীন কিন্তু গোপন সিন্দূরবিন্দু চাঁদিতে, কেশবিন্যাসের অন্তরালে দিয়ে রাখেন ঠিকই।

কে শাঁখা-সিঁদুর পরবেন, কে নয়, তা নিয়ে কারও কিছু বলার থাকে না যতক্ষণ না তার ব্যবহারের যোগ্যতা বা অযোগ্যতা বাধ্যতামূলক না হয়ে ওঠে!

সিঁদুরখেলার বিষয়েও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু এইটুকুর মধ্যে দর্শন সীমায়িত রাখলে আপাত বিষয়গুলিতেই কথা শেষ হয়ে যায়। প্রশ্ন হল, বিবাহের চিহ্নায়ণের গভীরে যে সমাজমানস, তা কি আদৌ প্রয়োজনীয়? সরকারি নথি বা পরিচয়পঞ্জিতে বিবাহের অবস্থান জানানো বাধ্যতামূলক। বিবিধ আর্থ-সামাজিক সমীক্ষণের জন্য তা জরুরি হলেও হতে পারে। কিন্তু স্ত্রীজাতির জীবনের নানা পর্বে, নামের আগে বা পরে যৌনপরিচয় সম্পূর্ণ অর্থহীন। বাংলায় অবিবাহিত মেয়ের নামের আগে বসে ‘কুমারী’, এর পর শ্রীমতী। বিধবা নারী দেব্যা বা দাসী। ইংলিশেও মিস-মিসেস’এর সমারোহ। ইদানীং সাম্যের যুগে নতুন শব্দবন্ধ এসেছে Ms. যাতে লিঙ্গপরিচয় আছে বটে, বিবাহ-অবিবাহ লোপ পেয়েছে।

বিবাহিত— এই চিহ্নের যদি এতটুকু কার্যকারিতা থাকে, তবে পুরুষদেরও চিহ্নিত করা বাঞ্ছনীয় নয় কি? এই মৌলিক প্রশ্নটি বহু পূর্বেই উত্থাপন করেছিলেন নারীপ্রগতি ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারক-বাহক ব্যক্তিবর্গ। এ কথা অস্বীকার করা বাতুলতা যে দাগিয়ে দেওয়ার রীতি অত্যন্ত প্রাচীন, অর্থহীন এবং অসম্মানজনক। যে ভেড়াগুলোর লোম ছাঁটা হবে, তাদের যেমন দাগিয়ে দেওয়া হয়, অনেকটা সেই রকম। মধ্যযুগে দাসব্যবসায়ের বাজারে মানুষ বেচাকেনার সময়ও দাগিয়ে দেওয়া হত বটে। চিহ্নায়ণের সঙ্গে সব সময়ই অধিকারের যোগ। সেখানে মানুষ, সম্পত্তি, ভাবাদর্শ, জমিজমা, কোনও কিছুই বাদ পড়ে না। কোথাও কোথাও তার প্রয়োজন থাকতে পারে। কিন্তু বিবাহিত নারীকে চিহ্নিত করে রাখার ব্যাখ্যাটি এই সময়ের নিরিখে আদৌ গ্রাহ্য নয়। এই নারী স-ধবা, অর্থাৎ কোনও পুরুষের অধিকৃত, এই নিরুচ্চার অথচ সোচ্চার ঘোষণা কি বর্জনীয় নয়? হিন্দু বিবাহিত নারীর হাতে শ্বেত-লোহিত-লৌহবলয়ের শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা যা-ই থাক, এর প্রতিটিই অধীনতা ও দাসত্বের অখণ্ড প্রতীক।

কোনও ব্যক্তি কারও দ্বারা অধিকৃত হতে পারে না। বিবাহ যৌনসম্পর্কের আইন ও সমাজ-স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। যেহেতু সন্তানাদির ক্ষেত্রে আজও সারা বিশ্বের মানুষ আত্মজাতকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, সেহেতু এই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন। তার জন্য নারীকে দাগিয়ে দেওয়ার প্রথা সম্পূর্ণ অর্থহীন। সেই সঙ্গে, এই চিহ্নের অধিকার সীমায়িত করা চরম নিন্দনীয়। যেমন নিন্দনীয় স্বামীহারা নারীর সিঁদুরখেলায় অনধিকার! মৃত্যু শোকাবহ, কিন্তু মৃত্যুশোকপ্রাপ্তি কারও আনন্দোৎসবে যোগদানের ক্ষেত্রে সামাজিক নিষেধ হয়ে উঠবে কেন!

ঋতুমতীর পূজায় বা সিঁদুরখেলায় অংশ না নেওয়া সম্পূর্ণ পরস্পরবিরোধী। ধব্য-র সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কাম ও যৌনতা। নারীদেহের যৌনতা ও যৌবনরক্ষার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নারীর ঋতুচক্র। তাকে অপবিত্র গণ্য করার মধ্যেও নারীশক্তিকে অবমানিত করার চক্রান্ত ক্রিয়াশীল। যদিও হিন্দুমাত্রেই ঋতুচক্র অশৌচ বলে মনে করেন, এমনটি নয়। বহু শাখায় বিভাজিত হিন্দুত্বের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে ঋতুচক্র সৃষ্টি, উর্বরতা এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋতুমতীর পূজাপাঠ নিষিদ্ধ!

বিবাহের চিহ্ন, ধব্যবিধি, ঋতুরীতি— এই সমস্তই নারীসত্তার মধ্যে নির্ভরশীলতা, অধীনতা এবং আত্মাবনমন ঘটায়। স্ত্রী স্বামীর মঙ্গলচিহ্ন ধারণ করে, কারণ সমাজ এই শিক্ষাই দিতে চায়, স্বামীর বিদ্যমানতাই স্ত্রীর অস্তিত্বের কারক। ঋতু বিষয়ে ছোঁয়াছানি, আচার-বিচার নারীমনে আত্মশুচি সম্পর্কে গভীর সঙ্কটের সৃষ্টি করে। ‘আমার এমন কিছু হয় যা অশুচি’— এই বোধ তার ব্যক্তিত্ববিকাশের অন্তরায়।

সিঁদুরখেলায়, অবিবাহিতা মেয়েরা খেলাচ্ছলে অংশ নিলে দোষ নেই। কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে সিন্দূর-মাহাত্ম্য তাদের মনস্তাত্ত্বিক গড়নে প্রভাব ঘটায়। মানুষের শুভাশুভ বোধ, মঙ্গলামঙ্গল সংস্কার ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের সঙ্গে এমনই ঘনিষ্ঠ ও অচ্ছেদ্য উপায়ে সম্পর্কিত, যে সহজেই বিভিন্ন বিশ্বাস ও কুসংস্কার মনে আশ্রয় নেয়। গণবিনোদনের বিভিন্ন শিল্পকীর্তিও এই ধরনের বিশ্বাসে ইন্ধন জোগায়। এ বিষয়ে যাত্রা ও চলচ্চিত্রের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সিঁদুররঞ্জিত সিঁথির অলৌকিক ক্ষমতার মাহাত্ম্য পুরাণকথিত সাবিত্রী-সত্যবানের গল্পের মতোই এই সব বিনোদন মাধ্যমগুলিতে ঘোষিত হয়। ব্যক্তিগত চারিত্রিক সততা ও যৌন সম্পর্কের সিঁদুররঞ্জিত সতীত্ব সম্পূর্ণ পৃথকভাবে উপস্থাপিত এবং সেই সতীত্বের ধারণাও শুধুমাত্র নারীজাতিতে বর্তায়।

বিনোদন-জগতের গল্প এবং বাস্তব জীবনের আত্মনির্ণায়ক ব্যক্তিত্ববোধ, যথেষ্ট শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবে, বিজ্ঞানসম্মত ও প্রগতিশীল সংস্কৃতি চর্চার অবর্তমানে— পরস্পর মিশে যায় এবং মুক্ত সামাজিকতার পরিসর বিনষ্ট করে।

যাঁরা সিঁদুরখেলা ভালবাসেন, তাঁরা বলতেই পারেন, নিছক নিরীহ খেলাটি নিয়ে এত কথা কিসের!

কথা তখনই শেষ হবে যখন নারীর যৌনজীবনের অবস্থান— কুমারী বা সধবা বা বিধবা— ইত্যাকার পরিচয় নারীসত্তাকে নির্ণীত করবে না!

কবে থেকে সিঁদুরখেলা বঙ্গসংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠল? কেউ বলেন ২০০ বছর আগে, কেউ বলছেন ৪০০ বছর! কারও ব্যাখ্যা, আর্যপূর্ব ভারতীয় সংস্কৃতিতে অনার্যেরা বিবাহিত কন্যার কপালে রক্তচিহ্ন দিত, সেই রক্ততিলকই পরে সিন্দূর হয়ে ওঠে। কারও মতে সেই রক্ত ছিল বলিপ্রদত্ত পশুর, কেউ মনে করেন, বিবাহিত মেয়েটির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হত।

সিঁদুরখেলার উদ্দামতা কি কেবলই খেলাচ্ছল? আজও ভারতের বেশ কয়েকটি মন্দিরে পশুবলি জারি আছে। বলির পর প্রবাহিত রক্তস্রোত গায়ে-মুখে মাখার যে আদিম উদ্দীপনা, তার সঙ্গে ভারতের শান্তি ও অহিংসার আদর্শ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সিঁদুরখেলায় দৃশ্যটি নয়নলোভন কিন্তু রক্তখেলার

সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ!

সম্প্রতি, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এক হিন্দু প্রতিষ্ঠান হিন্দু রমণীর শাঁখা-সিঁদুর বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগী হয়েছে। একে কি সভ্যতার পশ্চাদ্‌গমন বলা যায়, নাকি প্রচ্ছন্ন ও প্রতিষ্ঠিত কুসংস্কারের পুনরাবির্ভাব? যার শরিক সমাজের সব স্তরের নারী ও পুরুষ!

সিঁদুর বস্তুটি কী? সিন্নাবার থেকে সিন্দূর। এটি একটি প্রাকৃতিক যৌগ। পারদ ও গন্ধকের মিশ্রণ। মারকিউরিক সালফাইড। কখনও এর সঙ্গে ভারমিলিয়ন মিশ্রিত থাকে বা মেশানো হয়। এটি লেড টেট্রোক্সাইড। প্রথমটি লাল। দ্বিতীয় যৌগটি আগুনরঙা। এই পারদ ও সিসা দুই-ই শরীরের পক্ষে গভীর ক্ষতিকারক! এটিই সিঁদুরের বাস্তব ধর্ম। সিঁদুরের মহিমা প্রচারের সময় এবং সিঁদুরখেলার অনুরাগে এই তথ্য স্মরণে রাখা দরকার!

সম্প্রতি একটি নব্য ও মুক্ত ভাব প্রচার শুরু হয়েছে। সবাইকে নিয়ে সিঁদুরখেলার আহ্বান। সব ধরনের নারীর প্রতি আহ্বান। এ যেন নতুন এক খেলা ভাঙার খেলা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2018 Durga Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE