Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

চলে গেলেন বারেন্দ্র ইহুদি 

জন্ম, মৃত্যু কলকাতায়। ঢাকা টেলিভিশনের প্রথম ঘোষক। সিরাজউদ্দৌলা, সাগিনা মাহাতো-য় অভিনয়। বাংলা-গান-পাগল ইহুদির জীবন জুড়ে বাঙালিয়ানার আশ্চর্য উদ্‌যাপন।জন্ম, মৃত্যু কলকাতায়। ঢাকা টেলিভিশনের প্রথম ঘোষক। সিরাজউদ্দৌলা, সাগিনা মাহাতো-য় অভিনয়। বাংলা-গান-পাগল ইহুদির জীবন জুড়ে বাঙালিয়ানার আশ্চর্য উদ্‌যাপন।

ঋজু বসু
শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

কী  চোখে তোমায় দেখি বোঝাতে পারিনি আজও হয়তো, এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো!’ খোলা গলায় মান্না দে ধরলেন মর্ডিকাই হাইম কোহেন, কলকাতার শেষ ইহুদিদের এক জন। মারণ কর্কট রোগে ৭৪ বছরের প্রবীণের শরীরটা তখন প্রায় ঝাঁজরা।

এমন সাহসী কিন্তু নরম মনের রোগী বড় একটা দেখেননি ডাক্তারবাবু, সোমনাথ সরকার। প্রস্টেটের ক্যানসার ধরা পড়েছিল, ফোর্থ স্টেজে। যন্ত্রণায় তখন নুয়ে পড়ছে শরীরটা। কিন্তু মর্ডির জীবন থেকে সুর কেড়ে নিতে পারেনি। রোগশয্যায় তাঁর সঙ্গী শরৎচন্দ্রের কোনও বই। আর সারা ক্ষণ গুনগুন চলছে। রেডিয়েশন নিতে হাসপাতালে এলে রোগী নিজেই ডাক্তারকে গানের টানে কাবু করতেন। কেবিনে তাঁদের ঘিরে তখন মান্না, হেমন্ত, মানবেন্দ্র, শ্যামল, কিশোর, ধনঞ্জয়রা। ডাক্তারের কাছে অলৌকিক কিছুর আশা ছিল না মর্ডির। কড়া কেমো-টেমোর দরকার নেই। হাসপাতালের আইসিইউ-তে থাকব না। শুধু যত দিন বাঁচব, একটু শান্তিতে বাঁচি যেন। আর দু’টি ছোট আবদার ছিল।

মৃত্যুর আগে এক বার ইজরায়েলে যেতে চেয়েছিলেন। সেটা ঠিক ইহুদি ধর্মের আঁতুড়ঘর বলে নয়। দুই ছেলে রাফায়েল ও মিখাইল, মেয়ে এমা, তাদের পরিবারসুদ্ধ কোহেন দম্পতি একজোট হবে বলে। কলকাতায় জন্মানো তিন সন্তান, একে একে ছিটকে যায় আমেরিকা-ইজরায়েলে। বুড়োবুড়ি মর্ডি আর জো শুধু এই শহরে পড়ে। ১৯৯২-এর পরে ছেলেমেয়েদের কখনও একসঙ্গে দেখা হয়নি। কোহেনদের সেই শেষ পারিবারিক পুনর্মিলন, ২০১৫-তে। ইজরায়েলে।

এর ঠিক বছর দেড়েক আগে আর একটি সফরে যেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মর্ডি। ঢাকায়। ২০১৪-য় ঢাকা টেলিভিশনের সুবর্ণ জয়ন্তী। ঢাকার প্রথম টিভি ঘোষক এবং সংবাদ পাঠক মর্ডিই। তখন পাকিস্তান টিভি-র যুগ। ঢাকায় টিভি-র প্রথম শব্দটা বাংলায় মর্ডিই উচ্চারণ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ ভোলেনি তাঁকে। টিভি-র অর্ধ শতক পূর্তি উৎসবে ঢাকায় নেমন্তন্ন পান তিনি। মর্ডি কলকাতার জাতক। কিন্তু ইস্কুল, কলেজ রাজশাহীতে। ’৬৭-৬৮’তে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু না-হলে তিনি কখনও সে-দেশ ছাড়তেন না। প্রথম যৌবনেই কলকাতায় চলে আসতে হলেও বাংলাদেশ মর্ডির কাছে এক নাড়িছেঁড়া টানের চিহ্ন। সেই ভালবাসার দেশকে দেখতে চেয়েছিলেন!

আরও পড়ুন: চোপ! পিতৃতন্ত্র চলছে

দীর্ঘদেহী সুপুরুষের হাড়ে হাড়ে তখন মারণ রোগে ঘুণ ধরছে। বিমানযাত্রার ধকল সইবে তো! এক বার হোঁচট খেলেই কেলেঙ্কারি। কিন্তু মর্ডির মুখ দেখে ডাক্তারবাবু না করতে পারেননি। ওষুধ, ইঞ্জেকশনের ডোজ পালটে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা হল। ডাক্তারবাবুর মনে পড়ে, কৃতজ্ঞ মর্ডি তাঁর হাতটা ধরেছেন। যাওয়ার আগে ঠোঁটে গান, ‘এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো।’

ভালবাসা: কলকাতার নারকেলডাঙায় ইহুদি সমাধিক্ষেত্রে মর্ডির সমাধিফলকে বাংলার ছোঁয়া। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

ইজরায়েল থেকে ফেরার পরে বড়জোর মাসখানেক বেঁচেছিলেন মর্ডি। এখন মনে হয়, শেষ দেখা দেখতে তাঁকে ফিরতেই হত এই বাংলায়। মর্ডির প্রজন্মের কলকাতার অন্য ইহুদিরা অনেকেই স্বজাতির ঘেরাটোপে বন্দি থেকেছেন। শেষ জীবনে ইজরায়েলে ফিরে ধর্মকর্ম করে পুণ্যভূমিতে মৃত্যুই ছিল তাঁদের পরম কাঙ্ক্ষিত। মর্ডি ঠিক উলটো। বাংলা বই, বাংলা গান, বাংলা কাগজ পড়া, বাংলায় আড্ডা— এ সব ছাড়া যেন হাঁসফাঁস করতেন। তাই দলে দলে ইহুদিরা মসৃণতর জীবনের আশায় কলকাতা ছাড়লেও মর্ডি সে দলে নাম লেখাননি। তাঁর জীবনদর্শন, আমার এই দেশেতে জন্ম, যেন এই দেশেতেই মরি! কলকাতার পার্ক লেনের বাসিন্দা মর্ডিকাই কোহেনের সান্নিধ্যে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাই বাংলার প্রতি এই ভালবাসা টের পেয়েছেন।

বছর পাঁচেক আগে এই শহরের আর এক স্মরণীয় ইহুদি, নিউ মার্কেটের কেক-বিপণির কর্তা ডেভিড নাহুমের স্মরণসভায় মর্ডিকে দেখে হাঁ হয়ে গিয়েছিলাম। তখনও তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েনি। লালমুখো লম্বা ইহুদি প্রৌঢ় ঈষৎ খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। আলাপ হতেই প্রশ্ন, ‘‘আমি কে জানো?’’ চুপচাপ তাকিয়ে আছি দেখে নিজেই বললেন, ‘‘আমি হলাম ‘বারেন্দ্র জু’।’’ এটা শুনে আরও ভ্যাবাচাকা খাওয়ার দশা। তখন মর্ডির ব্যাখ্যা, ‘‘আরে
বাবা, রাজশাহীকে বরেন্দ্রভূমি বলে জানো তো! ওখানেই আমার স্কুল, বড় হওয়া, সব।’’ তখন শাহবাগ আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘‘কী যেন স্লোগানটা! পদ্মা, মেঘনা, যমুনা/ তোমার আমার ঠিকানা! আমি তো বাংলা মাধ্যমেই পড়েছি। সবটা আমার সঙ্গে মিলে যায়, বুঝলে!’’

মর্ডির স্ত্রী জো কার্শিয়াংয়ের কনভেন্টের ছাত্রী। আদতে লখনউয়ের ইহুদি কন্যা। জো ইংরেজি, হিন্দি বললেও মর্ডি বউয়ের সঙ্গেও প্রায়শই বাংলা চালাতেন। ‘‘সত্যি বলতে, ইহুদি পরিচয় নিয়ে তত মাথাব্যথা ছিল না ওর। নিজেকে বাঙালিই ভাবত মর্ডি,’’ স্বামীর স্মৃতিচারণ করছিলেন জো। সব চেয়ে ঝামেলা হত যখন ছেলেমেয়েরা কলকাতার স্কুলে বাংলা পড়ত। মর্ডি খানিক সাধুভাষার বাংলাপন্থী। বাচ্চাদের পড়াতে বসে ইস্কুলের বাংলা খাতা দেখে গজগজ করতেন।

জো-র মনে আছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোয় সব সময়ে বাড়িতে অনাহূত অতিথির ভিড়। তখন সদ্য বিয়ে হয়েছে দম্পতির। চিলতে ফ্ল্যাটে কয়েক সেট বাড়তি গেঞ্জি, লুঙ্গি— সব সময়ে কেচেকুচে রেডি। সীমান্ত পার হয়ে কখন কে আসবে, ঠিক নেই।

সেই বন্ধুরা, রাজশাহীর রানিবাজারের রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে বাচ্চু, আব্দুল মালেক ওরফে পল্টুরা এখনও মর্ডিকে হৃদয়ের সব থেকে গভীর ভালবাসার ঘরে আগলে রেখেছেন। আর এক বন্ধু আলির মেয়ের অভিমান, ‘‘মর্ডিকাকু না-এলে আমি বিয়াই করব না।’’ পল্টু এই সে দিনও এসে মর্ডির কলকাতার বাড়িতেই উঠেছেন। শেষ বার ঢাকা সফরে এই সব মানুষের সান্নিধ্য অসুস্থ মর্ডিকে বিপুল অক্সিজেন জুগিয়েছিল।

১৫০ বছর আগে ইরানের ইস্পাহান থেকে ঢাকা হয়ে ক্রমশ বরেন্দ্রভূমেই থিতু হয়েছিলেন কোহেনরা। তবে মা কলকাতার ইহুদি বলে মর্ডির জন্ম বউবাজারে। রাজশাহীতে, কে না-চিনত কোহেনদের! মর্ডির বাবার সাইকেলের দোকান, সারাইয়ের গ্যারাজ। সাইকেল আর প্যাডেল রিকশাই সেই রাজশাহীর প্রধান যানবাহন। মর্ডির অবশ্য একটা মোটরসাইকেলও ছিল। বাইক হাঁকিয়ে টো-টো করে ঘুরতেন পদ্মাপাড়ে। গান গেয়ে আর ঘোড়ামারা ড্রামাটিক ক্লাবে পার্ট করে দারুণ আনন্দেই কেটেছিল সেই ছেলেবেলাটা।

বন্ধুরা বলেন, ওর সঙ্গে কোথাও বেরলে পৌঁছতে অবধারিত দেরি হয়ে যেত! সকলেই মর্ডির চেনা যে! ক্লাস টেনে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ‘নীলদর্পণ’-এ মর্ডিই ডিরেক্টর। শহরের মেয়েরা তাঁর জন্য পাগল। নানা কাজকম্ম সেরে পড়াশোনার সময়টা একটু কমই পেতেন মর্ডি।

পরবর্তী কালে বাংলাদেশ টিভি-র ইঞ্জিনিয়ার বাচ্চুর মনে আছে, মর্ডির স্কুলের বোর্ড পরীক্ষার গল্প! লিখতে বসে বুঝলেন, একটা প্রশ্নও কমন পড়েনি। তাতে কী! মর্ডি অকুতোভয়। সে যুগের জনপ্রিয় বাংলা গানের লিরিক লিখেই খাতা ভরিয়ে দিয়েছিলেন সে দিন।

বাচ্চুকে মজা করে মর্ডি ডাকতেন ‘দেব আনন্দ’ বলে, আর মর্ডি হলেন ‘কিশোরকুমার’। যদিও বন্ধুর চোখে কিশোরের চেয়ে ঢের বেশি হ্যান্ডসাম মর্ডিই। প্রিয় বাংলা গানগুলোর ইংরেজি অনুবাদেও ঝোঁক ছিল ইহুদি ছেলেটির। মান্নার ‘আমি সাগরের বেলা, তুমি দুরন্ত ঢেউ, বারে বারে শুধু আঘাত করিয়া যাও’-এর ইংরেজি হল ‘আই অ্যাম দ্য বিচ অব দ্য সি, ইউ আর দ্য রেস্টলেস স্টর্ম, আগেন অ্যান্ড আগেন ইউ নক মি’। সুরে ফেলে মর্ডি ডেকে ডেকে শোনাতেন সবাইকে। বাচ্চু, পল্টুদের মুখে উজ্জ্বল কবেকার সেই সব স্মৃতি।

কয়েক দশক পার হয়ে তাঁর বার্ধক্যের কলকাতাতেও এই মর্ডি পাল্টায়নি। রোগশয্যায় ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথায় কথায় জবাব দিতেন বাংলা গানেই। পুরনো অনুরাগিণীদের প্রসঙ্গে রসিকতা, ‘রঙ্গিনী কত মন, মন দিতে চায়, কী করে বোঝাই কিছু চাই না, চাই না!’ কিংবা রোগীর শরীর নিয়ে ডাক্তারের দুশ্চিন্তায় সান্ত্বনা, ‘জীবনখাতার প্রতি পাতায় যতই লেখো হিসাবনিকাশ, কিছুই রবে না!’ উচ্চ মার্গের পণ্ডিতির বাইরে এক ধরনের আটপৌরে গেরস্ত বাঙালিয়ানায় মর্ডির ছিল বরাবরের অধিকার।

রাজশাহী, ঢাকার বন্ধুদের ছেড়ে কলকাতায় তাঁর বৃত্ত কিছুটা ছোট হয়ে এসেছিল। ঢাকায় ‘সিরাজউদৌল্লা’ ছবিতে সিরাজের ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রে হয়েছিলেন মর্ডি। সিনেমা-জগতে যোগাযোগের সুবাদে পরে কলকাতায় তপন সিংহের ‘সাগিনা মাহাতো’-তেও একটা ছোট পার্ট করেন। কিন্তু ইজরায়েল-আরব যুদ্ধের পটভূমিতে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি ভাল ঠেকছিল না ইহুদিদের জন্য। তাই ঢাকা টেলিভিশনের চাকরিটা মর্ডিকে ছাড়তে হল।

১৯৬৮ সালের কলকাতাতেও কিছু ইহুদি কোম্পানি টিকে ছিল। ন্যাশনাল টোব্যাকো, আগরপাড়া চটকলের সঙ্গে জড়িত বি এম এলিয়াসের কোম্পানিতে দ্রুত চাকরি হয় মর্ডির। পরে অন্য বেসরকারি সংস্থায় যোগ দেন। এই শহরে ইহুদি সমাজের ছোটখাটো হাউস-পার্টির অন্তরঙ্গতায় মানিয়ে নিয়েছিলেন মর্ডি। ময়রা স্ট্রিটের একটি বাড়িতে এমন আসরেই হবু স্ত্রী জো-কে খুঁজে পান তিনি।

তবে মর্ডির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ ফিকে হয়নি। ঢাকা থেকে বাচ্চু বলছিলেন, ‘‘মর্ডি কোন ধর্মের, কখনও টের পেতাম না। কয়েক বছর আগে কোরানের কয়েকটি সুরার ইংরেজি অনুবাদ করেও আমায় পাঠাল।’’

কলকাতার বাঙালিদের মধ্যে অনেকের অচেনাকে চেনার জড়তা থাকে, চেনা অলিগলির বাইরে অস্বস্তিতে পড়েন তাঁরা! আবার যাঁরা বাঙালি নন, তাঁরাও অনেকে এ শহরে আলগা ভাবে কাটিয়ে চলে যান। স্থানীয় ভাষা, সংস্কৃতির ধার ধারেন না। ‘বারেন্দ্র ইহুদি’র কাছে তাঁদের সবারই শেখার আছে। আজকের ভারত বা গোটা বিশ্বেই জাতিগত অস্মিতায় অনেকের মাটিতে পা পড়ছে না। ভিনধর্মী, উদ্বাস্তু, অভিবাসীরা— তাঁদের কাছে কেউ মানুষ নয়। সেখানে মর্ডির জীবন এক অন্য গল্প বলে। তিনি ধর্মে ইহুদি কিন্তু মনেপ্রাণে বাঙালি। একই সঙ্গে ভারতীয় অথচ বাংলাদেশপ্রেমী! জাত, ধর্ম, দেশ, বংশের চিরকেলে খোপগুলো টান মেরে উলটে-পালটে দিয়েছেন।

মর্ডির জীবদ্দশা আর কলকাতায় ইহুদিদের ২০০ বছরের ইতিহাসের শেষ অঙ্ক মিলে গিয়েছে। ১৭৯৮-এ এ বাগদাদ থেকে শহরের প্রথম ইহুদি ব্যবসায়ী শালোম কোহেনের আগমন। কলকাতাকে নানা স্থাপত্য-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ করার পরে এখন জনা কুড়ি বুড়োবুড়ি টিকে। বছর দুয়েক আগে মর্ডিই শেষ ইহুদি যিনি কলকাতার জীবন থেকে ঝরে পড়েছেন। দিনটা ২০১৫-র ১৬ ডিসেম্বর। যা আবার মর্ডির প্রিয় বাংলাদেশের বিজয় দিবসও!

আবার কলকাতার সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়েরও সূচনা সে-দিন। নারকেলডাঙার ইহুদি সমাধিক্ষেত্রে এতদিন শুধু হিব্রু, ইংরেজির স্মৃতিফলক হত। এই ‘বারেন্দ্র ইহুদি’র সৌজন্যেই সমাধি-সৌধে প্রথম বাংলার ছোঁয়া। ইহুদি মর্ডির শেষকৃত্য সারতে বেঙ্গালুরু থেকে পুরোহিত বা র‌্যাবাইকে ডাকতে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর কবরে বাংলাতেই লেখা হল, মর্ডির বাংলা ভাষা, কবিতা, গানকে ভালবাসার কথা। কলকাতার মাটির নীচে শুয়েই মর্ডি এখন তাঁর বাংলাকে দেখে চলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE