বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের বচসা মেটাতে আলোচনায় বসেছিল পুলিশ। সে সময়েই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা নির্বিচারে ছর্রা গুলি, বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। সন্দেশখালির ধামাখালি রোডের ওই ঘটনায় এক পুলিশকর্মী এবং বিজেপির ২১ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। তৃণমূলের দাবি, তাঁদের চার সমর্থকও আহত হয়েছে। এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতেও বিজেপির মিছিলে তৃণমূলের হামলার অভিযোগও উঠেছে।
নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সোমবার বিকেলের পর থেকে উৎসবে মেতেছিলেন সন্দেশখালির বেড়মজুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত হালদারপাড়া ঘেরি এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তাঁদের দলের কয়েক জনের বাড়িতে বাজি-পটকা ছোড়ে। প্রতিবাদ করলে হাজু বিশ্বাস এবং বাপ্পা মণ্ডল নামে দু’জনকে মারধর করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের লোকজন স্থানীয় বিজেপি নেতা ধনঞ্জয় বাউলের বাড়িতে চড়াও হয় বলে পাল্টা অভিযোগ। তাঁর ভাই মৃত্যুঞ্জয়কে মারধর করা হয়। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন প্রতিবেশী, বিজেপি কর্মী তপন সর্দার। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চলে। পরে গ্রামবাসীরা দল বেঁধে রুখে দাঁড়ান। তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে বেলা ১১টা থেকে ধামাখালি রোডে অবস্থান শুরু করে বিজেপি। ছয় পুলিশকর্মী পৌঁছন। তৃণমূল-বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনায় বসে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, সে সময়ে তৃণমূলের ৩০-৪০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী চার-পাঁচটি গাড়ি নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি-বোমা ছোড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। ছর্রা গুলি লাগে কনস্টেবল সমীর ঘোষের গালেও। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের এক কর্মী-সহ কয়েক জখম হয়েছেন। নিজাম মোল্লা নামে এক জন গ্রেফতার হয়েছে।”
গ্রাম থেকে আহত পুলিশ কর্মী ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সন্দেশখালির রাজবাড়ি হাসপাতালের দিকে রওনা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরবেড়িয়ার কাছে তৃণমূলের সশস্ত্র জমায়েত থেকে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরে উল্টো দিকে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সকলকে।