বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের পরে এক ছাত্রীকে ভিনরাজ্যে বিক্রির দায়ে তিন জনকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত জেলা আদালত।
শনিবার দুপুরে ৫ নম্বর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি দু’জনকে ১০ বছর ও এক জনকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে দেগঙ্গায় বছর উনিশের এক ছাত্রী স্কুলে গিয়ে নিখোঁজ হন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর মা। কিছু দিন পরে মেয়েটি মাকে ফোনে জানান, বিপদে আছেন। যে কোনও সময়ে তাঁকে খুন করা হতে পারে। ছাত্রীর মা ওই ফোন নম্বরটি পুলিশকে জানান। তদন্তে নেমে হাসনাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় জাহিদুল বারি নামে এক যুবক। তাকে জেরা করে ধরা পড়ে ইস্তার গাজি নামে আরও একজন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইস্তার বিবাহিত, সন্তানের বাবা। ফোনে তার আলাপ হয় দেগঙ্গার ছাত্রীর সঙ্গে। তাঁকে ভালবাসার জালে জড়িয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ইস্তার। মেয়েটিকে আসতে বলে বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে। সেখানে ইস্তারের সঙ্গে ছিল তার বন্ধু জাহিদুল।
মেয়েটিকে নিয়ে দিল্লি যায় তারা। সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে পৌঁছয়। ইস্তার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় সন্তু ঠাকুরের কাছে। সেখান থেকে মেয়েটি পালিয়ে এলে তাঁকে ধরে ফেলে ইস্তার ও জাহিদুল। মারধর করে ফের শারীরিক অত্যাচার চালায় তিনজন। এরপরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে ইস্তার, জাহিদুল ও সন্তু। উদ্ধার করা হয় ছাত্রীকে।
শনিবার বিচারক ৩৬৫ ধারায় ইস্তার গাজি ও জাহিদুল বারিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ৩৭৬ ধারায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সন্তু ঠাকুরকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন।
সরকারি আইনজীবী পঙ্কজ সরকার বলেন, “দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের রায়ের পরে এই রায় মহিলাদের প্রতি নির্যাতন করতে গেলে অপরাধীরা দশবার ভাববে। একটা সামাজিক রায়, আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের রায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy