E-Paper

পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা

বৃহস্পতিবার বনগাঁ ও বাগদার কয়েকটি এলাকায় গিয়েছিলেন জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী। তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

সীমান্ত মৈত্র  

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ০৯:৩৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না হলেও সংখ্যাটা কয়েক হাজার বলে অনুমান নানা মহলে। আগে বিভিন্ন ভোটে দেখা গিয়েছে, ভোটের দিন একটা বড় অংশের পরিযায়ী শ্রমিকেরা অনুপস্থিত থাকছেন। ভোট কেন্দ্রে যাওয়া তো দূরের কথা, তাঁরা বাড়িতেই ফেরেন না। ফলে বেশ কিছু বুথে অনেক কম ভোট পড়ে।

এ বার জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে আনতে আগেভাগে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের কর্তারা এলাকায় গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, পরিবারের যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বাইরে রয়েছেন, তাঁদের যেন ভোটের দিন আসতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার বনগাঁ ও বাগদার কয়েকটি এলাকায় গিয়েছিলেন জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী। তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলার কোন কোন বুথ এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই মতো ভোটের দিন তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বুথস্তরে অফিসারেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বোঝাচ্ছেন।’’

শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন জানালেন, বাইরে বাইরে যাঁরা থাকেন, সারা বছর তাঁদের খোঁজ কেউ রাখে না। এ বার ভোট বলে পরিযায়ীদের কথা প্রশাসনের কর্তাদের মনে পড়েছে!

কেন পরিয়ায়ী শ্রমিকেরা ভোট দিতে আসতে চান না?

বাগদার এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী বলেন, ‘‘এখানে কাজে টাকা কম। ফলে স্বামী বাইরের রাজ্যে গিয়েছেন। এক বার বাড়ি ফিরতে কয়েক হাজার টাকা বাড়তি খরচ। এই টাকাটা কেউ ভোটে দেওয়ার জন্য ফিরবে বলে খরচ করতে চায় না। তা ছাড়া ভোট দিয়ে কী হবে আমাদের? সংসারের অবস্থার তো পরিবর্তন হবে না!’’

তবে অনেকে জানালেন, এ বার প্রশাসনের লোকজন বাড়ি এসে অনুরোধ করছেন দেখে ভাল লাগছে। ভোট দিতে আসতে অনুরোধ খরবেন নিকটজনেদের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Bangaon

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy