পাকড়াও: জল থেকে তোলা হয়েছে কুমির। নিজস্ব চিত্র
কখনও পুকুর পাড়ে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। কখনও পুকুর ঘাটে বাসন ধুতে গেলে খাবারের গন্ধে হঠাৎ জেগে উঠছে জল ঠেলে। ছাগল-গরুও টেনে নিয়ে গিয়েছে জলে। স্নান করতে নামলে মানুষ কখন ঢুকবে কুমিরের পেটে, তা নিয়ে আতঙ্কে পাথরপ্রতিমার অচিন্ত্যনগরের মানুষ। তাঁদের দাবি, বার বার কুমির ঢুকছে গ্রামে। ধরা পড়ার পরে বন দফতর ঠিকমতো জঙ্গলের গভীরে না ছাড়ার ফলে ফিরে ফিরে আসছে কুমির।
রবিবারও অচিন্ত্যনগরের মণ্ডলপাড়ায় একজনের পুকুরে ঘাপটি মেরে বসেছিল প্রায় আট হাত লম্বা একটি কুমির। সময় মতো চোখে পড়ায় কারও ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু ওই দিন কুমির ধরতে এলে বনকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামের মানুষজন। বন দফতরের কর্মীরাই জাল ফেলে ধরেন কুমিরটিকে। কিন্তু তাঁদের রাত পর্যন্ত ঘেরাও চলে। পরে পুলিশ এসে বনকর্মীদের নিয়ে যায় গ্রাম থেকে।
মাস কয়েক আগেও কুমির ঢুকেছিল এই গ্রামে। সে সময়ে গ্রামবাসীরাই তাকে কোনও মতে বেঁধে রেখে বন দফতরের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। অচিন্ত্যনগরের তৃণমূল উপপ্রধান দুলাল সিট বলেন, ‘‘বন দফতর কুমির ধরে তা কাছেই কোথাও ছেড়ে দিচ্ছে। তার জেরেই বার বার ফিরে আসছে কুমির। গরু-ছাগলের স্বাদ পেয়ে এলাকা ছাড়তে চাইছে না। মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।’’
এর আগে পঞ্চায়েত ভবন সংলগ্ন একটি খালেই বেশি কুমির ঢুকত। এখন ক্রমাগত গ্রামের দিকে হানা দিচ্ছে ঘড়িয়াল।
যদিও কুমির গ্রামের কাছে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মানতে চাননি জেলা বন আধিকারিক তৃপ্তি সাহা। তিনি বলেন, ‘‘সব কুমিরই গ্রাম থেকে দূরে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এলাকায় ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। তা ছাড়া, একই কুমির বার বার ঘুরে আসবে, তার কোনও মানে নেই।’’
এলাকাবাসীর দাবি, কুমির ধরা পড়লে সেগুলি কিছু দিন ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে রেখে তারপরে ছাড়া হোক। কিন্তু বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে জায়গা নেই বলেই ধরা পড়া কুমির সেখানে রাখা যাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গেই গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy