মোদীর সভার মাঠে চলছে ট্র্যাক্টর। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল পেপার মিলের মাঠে সভা করতে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সাতসকালে সেই মাঠই খুঁড়ে দিল ট্রাক্টর! কারা খুঁড়ল? জবাব মেলেনি প্রশাসনের কাছ থেকে। এটা কোনও ঘটনা নয়, প্রতিক্রিয়া পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার। ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের। মাঠ সমান করার যুক্তি তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের।
আগামী ১২ মে জগদ্দলের পেপার মিলের মাঠে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু সভার আগেই মাঠ খুঁড়ে দিল একটি ট্র্যাক্টর। অবশ্য পুলিশ কমিশনার ওই মাঠে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পান। তিনিই ট্র্যাক্টরটিকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এই খবর পেয়ে মাঠের কাছে পৌঁছন ব্যারাকপুরের প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিংহ। সদ্য তৃণমূলত্যাগী অর্জুন সরাসরি অভিযোগ করেন, মোদীর সভা বানচাল করতে তৃণমূলই মাঠে এই কাণ্ড করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘‘সিপির তত্ত্বাবধানেই এ সব কাজ হচ্ছে। তৃণমূলের পুরসভা এ সব করছে। পার্থ ভৌমিকের ইশারায় সব কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ। কিন্তু পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। পুলিশ কিছুই করবে না। আজ (বুধবার) থেকে বিজেপির ছেলেরাই মাঠ পাহারা দেবে।’’
যদিও মাঠ খুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁর দাবি, ওই এলাকার সব ক’টি মাঠেরই সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। নির্দিষ্ট ওই মাঠে রানিং ট্র্যাক বসানো হবে। সেই কারণেই ট্র্যাক্টর দিয়ে মাঠ সমান করার কাজ করা হচ্ছিল। সোমনাথ বলেন, ‘‘মাটি খোঁড়া হচ্ছে না। মাঠের মাটিতে প্লাস্টিক মিশে আছে। ট্র্যাক্টর দিয়ে সেই প্লাস্টিকই মাটি থেকে আলাদা করার কাজ হচ্ছিল। তার পর ঘাস বসানো হবে। ট্র্যাক বানানোর জন্য মাটি সমান করা হচ্ছে। এর পর রোলার চলবে, ঘাস বসবে। ওখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে এমন কোনও খবর আমি জানতাম না। তাই কাজ চলছিল। যখন খবর পেয়েছি তখনই কাজ বন্ধ করিয়ে মাঠ সমান করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy