Advertisement
E-Paper

প্রধানকে কাজ করতে না দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল

পঞ্চায়েতে কোনও সভা ডাকলেই তৃণমূলের লোকজন হাজির হয়ে সভা ভেস্তে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, পঞ্চায়েত থেকে প্রধানকে হুমকি দিয়ে বের করেও দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৪

পঞ্চায়েতে কোনও সভা ডাকলেই তৃণমূলের লোকজন হাজির হয়ে সভা ভেস্তে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, পঞ্চায়েত থেকে প্রধানকে হুমকি দিয়ে বের করেও দেওয়া হচ্ছে।

মাসখানেক ধরে রায়দিঘির মথুরাপুর ব্লকের সিপিএম পরিচালিত নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে যার জেরে কোনও সভা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। যার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে পূর্ব শ্রীধরপুর রামকৃষ্ণবাজারে মিছিল বের করে সিপিএম।

প্রধান রামকৃষ্ণ বৈরাগী জানান, সভা করতে না পারায় এলাকায় সমস্ত উন্নয়নের কাজ বন্ধ। বর্ষার সময় চারিদিকে জল জমছে। কী ভাবে ওই জল বের করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে না। বৃষ্টিতে কেওড়াতলা গ্রামের কাছে বাঁধের অবস্থাও খারাপ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয় ভাণ্ডারীর নেতৃত্ত্বে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। পঞ্চায়েতে এসে তাঁকে প্রায় দিনই গেটে তালা দেখতে হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গেটে তালা ঝুলিয়ে বাইরে সভা করছে তৃণমূল। এ ভাবে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। সভাও করতে দিচ্ছে না শাসকদলের লোকজন।’’

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের তালিকা পাঠানো যায়নি। গৃহসমৃদ্ধি প্রকল্পের চারা গাছ বিতরণ, বৃক্ষরোপণ বন্ধ, বাড়িতে বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণেরও কাজ করা যাচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে মথুরাপুরের বিডিও আজ বৃহস্পতিবার সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘কী সমস্যা হচ্ছে ওই সভায় আলোচনা হবে। তবে শুনেছি প্রধান সবার সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করছেন না।’’

মথুরাপুর ২ ব্লকের তৃণমূ‌লের সভাপতি প্রদ্যুৎ প্রামাণিক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে হামলা করা হয়নি। প্রধান স্বজনপোষণ করছেন। এলাকার তৃণমূল নেতা জয় ভাণ্ডারীর নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে।’’ তৃণমূলের সমর্থকদের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই আন্দোলন বলে তিনি জানান।

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএমের প্রধান রামকৃষ্ণবাবু। মণি নদীর পাশে ওই এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও দিন মজুরের কাজ করেন। নিচু রাস্তায় ইটপাতা হয়েছে মাত্র। কিন্তু রাস্তায় জল জমায় বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়েই যাতায়াত করেন এলাকাবাসীরা। গ্রামের নলকূপ অকেজো। জল আনতে পাশের গ্রামে যেতে হয়। বৃষ্টিতে এলাকার বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে। মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে স্কুল ভবনে। কেউ আবার অন্য গ্রামে চলে গিয়েছে।

TMC pradhan panchayat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy