গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ভাবে কুমির রক্ষায় জন সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ। নিজস্ব চিত্র।
‘লোকালয়ে কুমির এলে, রক্ষা করো সবাই মিলে’।
কুমির নিশ্চিহ্ন হলে বিপন্ন হবে বাদাবনের জলজ বাস্তুতন্ত্র। তাই গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ভাবে কুমির রক্ষায় জন সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ। এ বার সেই প্রচারে শামিল হলেন বিদেশি বন্যপ্রাণপ্রেমীরাও।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত ভগবতপুর রেঞ্জে প্রচার কর্মসূচিতে নরওয়ে এবং কানাডার ২১ জন বন্যপ্রাণপ্রেমী পর্যটক অংশ নেন। গ্রামবাসীদের কাছে কুমির রক্ষার আবেদন জানানোর পাশাপাশি রেঞ্জ অফিসার তন্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কুমির প্রকল্প ঘুরে নোনাজলের কুমিরের জীবনচক্র এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকার কথাও জেনে নেন তাঁরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, ভারতে তিন প্রজাতির কুমিরের দেখা মেলে। তার মধ্যে সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে পাওয়া যায় নোনাজলের কুমির। এই প্রজাতির কুমির বিশ্বের বৃহত্তম। সাম্প্রতিক কালে একাধিক বার নদী থেকে কুমির গ্রামের পুকুর বা খালে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটলেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বনকর্মীরা সেগুলিকে ধরে বনের গভীরে খাঁড়ির জলে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘লোকালয়ে কুমির চলে এলে তার কোনও ক্ষতি না করে দ্রুত বন দফতরকে খবর দেওয়ার জন্য ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy