Advertisement
E-Paper

পাসওয়ার্ড জেনে ফের ব্যাঙ্ক প্রতারণা

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে, মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে বার বার গ্রাহকদের সতর্ক করা হচ্ছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের কোনও ফোন এলে অ্যাকাউন্ট এবং এটিএমের কোনও তথ্য জানাবেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৬
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে, মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে বার বার গ্রাহকদের সতর্ক করা হচ্ছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের কোনও ফোন এলে অ্যাকাউন্ট এবং এটিএমের কোনও তথ্য জানাবেন না। কিন্তু তারপরেও মানুষ এটিএম প্রতারণার চক্রান্তের শিকার হচ্ছেন। ফের ফোনে এটিএমএমের পিন নম্বর জেনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দেগঙ্গা ও হিঙ্গলগঞ্জে।

পুলিশ জানিয়েছে, দেগঙ্গার কুণ্ডুপাড়ার তপন পাল নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দফায় ষোলো হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গ্রাহক ছিলেন। অন্য দিকে হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়া গ্রামে বাড়ি আজমিরা বিবির অ্যাকাউন্ট থেকেও ৯০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি ইউকো ব্যাঙ্কের গ্রাহক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তপনবাবুর কাছে একটি ফোন আসে। নিজেকে ওই ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে তপনবাবুর কাছ থেকে তাঁর এটিএম কার্ডের ১৬ সংখ্যার নম্বরটি জানতে চাওয়া হয়। তাঁর এটিএম কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছেও বলা হয়। নতুন কার্ড করার জন্য ওই নম্বর প্রয়োজন। না হলে কার্ডটি ব্লক হয়ে যাবে। সে সময় তিনি রাস্তায় ছিলেন সে কারণে নম্বরটি দিতে পারেননি। তপনবাবু মেয়ে মেঘাকে ফোন করে ওই নম্বরটি দিতে বলেন। এক ঘণ্টা পর ফোন এলে মেঘা নম্বরটি দিয়ে দেন।

মেঘার কথায়, ‘‘এরপর টিভিতে চারিদিকে এটিএম জালিয়াতির খবর শুনে সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি এটিএমে গিয়ে দেখি আমাদের ষোলো হাজার টাকা নেই।’’ ব্যাঙ্কে গেলে জানা যায়, দু’দফায় টাকা তোলা হয়েছে।

তপনবাবু জানান, তাঁর এটিএম কার্ডটি সম্প্রতি হারিয়ে গিয়েছিল। তিনি নতুন কার্ডের আবেদনও করেছিলেন। ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন এলে তাঁরা মনে করেছিলেন সত্যিই ব্যাঙ্ক থেকে ফোন এসেছে। সে কারণেই নম্বর দেওয়া হয়েছিল।

আজমিরা বিবির স্বামী রবিউল ইসলাম গাজি থাকেন আরবে। পুলিশ জানায়, গত ২০ অক্টোবর সকালে ফোন করে আজমিরা বিবিকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাবে বলে পিন নম্বর জানতে চাওয়া হয়। তিনি পিন নম্বর দিয়ে দেন। পরদিন স্বামীকে ফোনে সব জানান আজমিরা।

এরপরে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিতে গেলে দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দিনে ২৫ বারে মোট ৯০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।

আজমিরা বলেন, ‘‘যে নম্বরে ফোনটি এসেছিল সেই নম্বরটি শুধু আমার স্বামীই জানেন। বাইরের কারও কাছে এই নম্বরটি নেই। কী ভাবে ওই নম্বর দুষ্কৃতীরা পেল তা বুঝতে পারছি না।’’ তিনি জানান, ২৫ বার টাকা তোলা হয়েছে অথচ কোনও এসএমএস আসেনি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

সম্প্রতি এ ভাবে বসিরহাটের এক কৃষকের পনেরো হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটলেই পুলিশকে দ্রুত জানানো উচিত। তা হলে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভবনা আছে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকবার টাকা ফেরত পাওয়া গিয়েছে।’’

Bank forgery Basirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy