আমপানের দাপটে উপড়ে পড়েছিল প্রাচীন, বিশাল একটি তেঁতুল গাছ। সেটি চাপা পড়ে ভেঙে যায় পুরনো একটি মন্দির-সহ চারটি বসত বাড়িও। তার পরে কেটে গিয়েছে দেড় মাস। কিন্তু বাড়িগুলির উপর থেকে গাছ সরাতে প্রশাসন তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, ভেঙে পড়া বাড়ি মেরামতির জন্য মেলেনি সরকারি সাহায্যও। বাধ্য হয়েই বর্ষার সময়ে ভাঙা ঘরে থাকছেন তাঁরা। এমনই চিত্র দেগঙ্গা ২ পঞ্চায়েতের তেলিয়া পাড়ুইপাড়ায়।
এত দিন পরেও কোনও সাহায্য না-মেলায় নিজেরাই গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, শুরু হয়েছে গাছ কাটার কাজ। এর জন্য তোলা হয়েছে চাঁদা। তবে বিশাল গাছটি কেটে, সরিয়ে কত দিনে বাড়ি মেরামত করা যাবে, তা নিয়ে ধন্দে আছেন সকলেই। প্রশাসনের তরফে এখনও গাছটি কেটে নিয়ে না-যাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ির মালিক সাগর পাড়ুই বলেন, ‘‘আমপানের দিনে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে ঘরেই ছিলাম। হঠাৎ বড় গাছটি ঘরের উপরে ভেঙে পড়ে। টালির ছাউনি, দেওয়াল ভেঙে আমরা চাপা পড়ে যাই। সারা রাত কোনও রকমে সবাই কাঠের চৌকির নীচে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সকালে পাড়ার লোকজন গাছের ডাল সরিয়ে আমাদের উদ্ধার করেন।’’