Advertisement
E-Paper

দুর্বল হচ্ছে বাঁধ, প্লাবনের আশঙ্কা

তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জের ৩ নম্বর সাহেবখালি এলাকাতে কালিন্দী নদীর বাঁধের পাশেই ইট বিছিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ওই রাস্তার নীচের মাটি সরে গিয়েছে।

নির্মল বসু

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩২
প্রবেশ: বাঁধ নেই। জল ঢুকছে অবাধে। সাগরের বোটখালিতে। নিজস্ব চিত্র

প্রবেশ: বাঁধ নেই। জল ঢুকছে অবাধে। সাগরের বোটখালিতে। নিজস্ব চিত্র

টানা বৃষ্টিতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গার নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এ ভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকলে বাঁধ ভেঙে বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারে বলে মনে করছে গ্রামবাসীরা।

রবিবার দেখা গেল, বৃষ্টির ফলে সুন্দরবন অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষিজমি জলে ভরে গিয়েছে। বীজতলা ২-৩ ফুট জলের তলায়। অনেক এলাকায় ভেঙে পড়েছে নদী সংলগ্ন ইটের রাস্তা। প্রয়োজনীয় জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় পলিথিন, চিঁড়ে, গুড়-সহ ত্রাণের সরঞ্জাম ব্লকে ব্লকে পাঠানো হয়েছে।

তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জের ৩ নম্বর সাহেবখালি এলাকাতে কালিন্দী নদীর বাঁধের পাশেই ইট বিছিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ওই রাস্তার নীচের মাটি সরে গিয়েছে। রাস্তা ভাঙতে শুরু করেছে। এলাকার কালীবাড়ি-সহ ৪ নম্বর সাহেবখালি বিএসএফ চৌকির সামনে কালিন্দী নদীর বাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক। এলাকার বাসিন্দা টিমে মণ্ডল, হরসিত মণ্ডল, রুমা মণ্ডলরা বলেন, ‘‘বাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক হচ্ছে। ধানের বীজতলা সব জলের তলায় চলে গিয়েছে। মাটি ধসে যাওয়ার ফলে ভেঙে পড়েছে রাস্তা। বৃষ্টির জমা জলে বাড়ি, পুকুর, ফসলের খেত সব এক হয়ে গিয়েছে।’’

হিঙ্গলগঞ্জের মঙ্গলচণ্ডী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে রায়মঙ্গল নদী। মঙ্গলচণ্ডী-সহ হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের মাধবকাটি গ্রামের দীঘিরপাড় এলাকায় বাঁধে ফাটল ধরেছে বলে বাসিন্দারা চিন্তিত। যোগেশগঞ্জের প্রভাস নষ্কর, তপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বেশির ভাগ জমির ধান জলের তলায়। মেছোভেড়ি, পুকুর ভেসে গিয়ে মাছ বেরিয়ে গিয়েছে।’’ বাড়ির উঠোনে জল জমে গিয়ে মাটির বাড়িগুলি ভেঙে পড়ছে।

সুন্দরবন এলাকায় ৫ কিলোমিটার আয়লা বাঁধ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই বাঁধ সুরক্ষিত রয়েছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘অতি বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। স্ল্যুইস গেট বন্ধ রয়েছে কিছু জায়গায়। আবার কোথাও তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে কারণে মাঠের জল বের হতে পারছে না। দ্রুত মাঠের জল যাতে নদীতে যেতে পারে সে জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে।’’

সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বাদুড়িয়া-সহ বসিরহাট মহকুমার নানা এলাকায়ও ইছামতী, ডাঁসা, গৌড়েশ্বর, বেতনি, বড়কলাগাছি নদীর বাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক।

Dam Damage Flood Rainfall বাঁধ প্লাবন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy