রোগী দেখতে ব্যস্ত। —নিজস্ব চিত্র।
জন্মস্থান বসিরহাটের গোয়ালপোতা গ্রামে। বর্তমানে থাকেন কলকাতার কসবায়।
বাগদার সঙ্গে সেভাবে তাঁর কোনও নাড়ির টানই নেই। কিন্তু কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বাগদার সম্পর্ক বড় নিবিড়।
ইন্দ্রজিৎবাবুর পেশাগত জীবন শুরু হয়েছিল বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে। তখন ১৯৯৮ সাল। পরবর্তী সময়ে তিনি বাগদা ব্লকের বিএমওএইচ হন। তখন থেকেই তিনি বাগদার মানুষের খুব কাছের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পেশাগত দায়িত্বের বাইরেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক মানুষকে সুস্থ করে তুলেথেন ইন্দ্রজিৎবাবু। গ্রামে গ্রামে ঘুরে সচেতনতা তৈরির কাজ করেছেন।
২০০২ সালে তাঁর বদলির নির্দেশ আসে। তখন তাঁকে বাগদা থেকে বদলি না করার দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্মারকলিপিও দেন গ্রামবাসীরা। তবে সেই বদলি আটকানো যায়নি।
তারপর ইছামতী নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু ‘ইন্দ্রজিৎ ডাক্তার’কে ভোলেনি বাগদা। ইন্দ্রজিৎবাবুও বাগদাকে ভোলেননি। কলকাতায় দৈনন্দিন ব্যস্ততা সামলে তিনি এখনও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাগদার হেলেঞ্চায় এসে রোগী দেখেন। যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি নেই তাঁদের থেকে ‘ফি’ নেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা রতিরঞ্জন চৌধুরী, প্রবীর কীর্তনিয়াদের কথায়, ‘‘ইন্দ্রজিৎবাবুর মতো ভাল মনের চিকিৎসক বর্তমান সময়ে সত্যিই বিরল।’’
কী বলছেন ইন্দ্রজিৎবাবু? তাঁর কথায়, ‘‘বাগদার মানুষ আমাকে ভালবাসেন। তাই এখানে আসি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy