রাকেশ দাস
দেশ-বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল বসিরহাটের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে। ‘মনের মাঝে ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস’ নামে ওই সংস্থার মালিক রাকেশ দাসকে শনিবার গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। মাটিয়ার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা রাকেশের বিরুদ্ধে ১৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক রাকেশকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশের বিরুদ্ধে আগেও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক ধরে বসিরহাট স্টেশনের কাছে অফিস খুলে বসেছিলেন রাকেশ। সহজ কিস্তিতে টাকা দিয়ে বেড়ানোর সুযোগ মিলবে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতেন। বহু মানুষ রাকেশকে বিশ্বাস করে আগাম টাকা জমা করতে শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, বারাসতের বাসিন্দা ফাল্গুনী শতপথি বসিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ১৮ জনের একটি দলকে আন্দামান নিয়ে যাওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রাকেশ। বসিরহাট আদালতের আইনজীবী দিলীপকুমার হালদার, শেখ সাবির আহমেদরা বলেন, ‘‘৯ জনকে আন্দামানে বেড়াতে নিয়ে যাবে বলে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আগাম নিয়েছিল রাকেশ। ২৪ অক্টোবর অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।’’ ২৬ অক্টোবর বেড়াতে যাওয়া আগে তাঁরা জানতে পারেন, টিকিট বাতিল করে রাকেশ সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরেই থানায় অভিযোগ করা হয়। ১৪ জনকে বিশাখাপত্তনমে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিল রাকেশ। অভিযোগ, কোনও টিকিট হাতে পাননি ভ্রমণকারীরা।
একই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন বসিহাটের মহকুমাশাসকের দফতরের সুপারভাইজার, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-সহ ১৪ জনের একটি দল। বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মিনাখাঁ, বসিরহাট, মাটিয়া, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ-সহ নানা এলাকার মানুষের কাছ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ আছে রাকেশের বিরুদ্ধে।
রাকেশের অবশ্য দাবি, ট্রেন ও প্লেনের টিকিটের জন্য যে এজেন্সির সঙ্গে কথা হয়েছিল, তারা ঠকানোর ফলেই এই বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy