Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নিজেদের গ্রামে পুজো করতে হাত মেলাল হিন্দু-মুসলমান

পঞ্চায়েতটি চিনাই নদী, মুড়িগঙ্গা ও বঙ্গোপসাগর ঘেরা একটি দ্বীপ। ওই দ্বীপে দুই সম্প্রদায় মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। দ্বীপের মধ্যে মোট তিনটি পুজো। এর মধ্যে কুসুমতলা সর্বজনীনই বড় বাজেটের পুজো।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল  শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫০
Share: Save:

পুজোর স্বাদ নিতে গেলে এলাকাবাসীকে দূরে যেতে হত। নদী-নালা ভরা এলাকা। রাত হলেই নৌকা পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও পুজো দেখতে যাওয়া সম্ভব হত না। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা নিজেদের এলাকায় একটি পুজোর পরিকল্পনা করেন। শারদীয় উৎসবে সামিল হন এলাকার হিন্দু-মুসলিম সকলেই। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টালের মৌসুনি পঞ্চায়েতে বালিয়াড়া কুসুমতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো হিন্দু-মুসলিম যৌথ উদ্যোগেই হয়ে আসছে। এ বারে ২২ তম বর্ষ।

পঞ্চায়েতটি চিনাই নদী, মুড়িগঙ্গা ও বঙ্গোপসাগর ঘেরা একটি দ্বীপ। ওই দ্বীপে দুই সম্প্রদায় মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। দ্বীপের মধ্যে মোট তিনটি পুজো। এর মধ্যে কুসুমতলা সর্বজনীনই বড় বাজেটের পুজো।

দুই সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ পুজোর কাজ করেন। ইদ-মহরমে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। তেমনই দুর্গাপুজোয় সামিল হন মুসলিমেরা। এ বারে পুজো কমিটির সম্পাদক হয়েছেন রঞ্জন মণ্ডল। সহ-সম্পাদক হয়েছেন সারফত আলি। সারফত বলেন, ‘‘ইদ-মহরমের মতো পুজোও আমাদের কাছে বড় উৎসব। ইদের মতো পুজোতেও নতুন পোশাক কেনাকাটা করি। আমাদের পরিবারের যাঁরা ভিন রাজ্যে থাকেন, তাঁরাও পুজোয় বাড়ি ফেরেন।’’ রঞ্জন বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে আমরা একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত উৎসবে অংশ নিই। এখানে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই।

কেমন হচ্ছে এ বারের পুজো?

এক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হয়েছে এ বারে। থাকছে ক’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Durga Puja 2019 Frezarganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE