ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
ভোটের সময়ে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িকে ভাগ করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী— বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ শহরের জ্ঞান বিকাশিনী সঙ্ঘের মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এসে এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এখন এসেছেন ঠাকুরবাড়ি ভাগ করতে। বলছে, বনগাঁ আসন জেতাটা তাঁদের চ্যালেঞ্জ। আমি বলি, এটা পশ্চিমবঙ্গ। এখানকার মানুষের হৃদয়ে একটিই নাম, মমতা বন্দোপাধ্যায়।’’
কিছু দিন ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের ধর্মীয় সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন। বিজেপির ছোট-বড় নেতারাও সাম্প্রতিক সময়ে ঠাকুরবাড়িতে আসছেন। এর আগে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও বনগাঁর সভায় এসে বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি-তৃণমূল মতুয়াদের নিয়ে ভাগাভাগির রাজনীতি করছে।’’দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী বাগদায় সভা করতে এসে দাবি করেছিলেন, মমতা ঠাকুরের নাম সুপারিশ করেছিলেন মতুয়াদের বড়মা বীণাপানি দেবী। মতুয়া বাড়ির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সখ্যের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
এ দিন সভায় প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধোনা করেছেন ববি। এনআরসি নিয়েও বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। সভায় অবশ্য প্রার্থী মমতা ঠাকুর ছিলেন না। তিনি প্রচারে অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি বলে দলীয় সূত্রের জানানো হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিনই বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে ট্যাংরা কলোনি এলাকায় সভা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। হেলিকপ্টারে এসেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, বনগাঁ থেকে স্বরপনগরে যাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু সেখানে হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন মুকুল।
এ দিনের সভায় বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কার্তিক বাইন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির দাবি, সিপিএম-তৃণমূল থেকেও কয়েকশো কর্মী-সমর্থক এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন। কয়েকজন আইনজীবীকেও বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মুকুল) বুঝতে পারছেন, এই জেলায় বিজেপি একটিও আসন পাবে না। সে কারণেই ভুলভাল বকছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy