Advertisement
১৯ মে ২০২৪
general-election-2019-west-bengal

কিছু বুথে ছাপ্পার নালিশ বিরোধীদের

এ দিকে রবিবার সপ্তম দফার নির্বাচনের দিনে বসিরহাট লোকসভা এলাকার কোনও গ্রাম থেকেই বোমার শব্দ কানে আসেনি। চলেনি লাঠি-গুলি।

সুরক্ষিত: বাক্সবন্দি ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের স্ট্রং রুমে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

সুরক্ষিত: বাক্সবন্দি ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের স্ট্রং রুমে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০৫:১৯
Share: Save:

মানুষকে ভয় দেখিয়ে বুথে আসতে না দেওয়া, এজেন্টদের বের করে দিয়ে বুথ দখল, ভোটারদের গ্রামে আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭১টি বুথে ফের ভোট গ্রহণের দাবি জানাল বিজেপি। শাসকদলের হয়ে বুথে বুথে ঢুকে ‘নীরব সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলে কয়েকটি বুথে ফের ভোটের দাবি করেছে কংগ্রেস এবং সিপিআই। বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘বসিরহাটে মোট ১৮৬১টি বুথ। তার মধ্যে শাসক দলের পক্ষে হিঙ্গলগঞ্জে ৩৫টি, সন্দেশখালিতে ১৫টি, উত্তর বসিরহাটে ১৫টি, দক্ষিণ বসিরহাটে ৫টি, মিনাখাঁয় ১টি বুথে ফের ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’’

এ দিকে, ভোটপর্ব শেষ হতেই হাসনাবাদ, বসিরহাট দক্ষিণ, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া এবং মিনাখাঁর কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘর-দোকান, মোটর বাইক ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ আসতে শুরু করায় পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা চিন্তিত।

রবিবার সপ্তম দফার নির্বাচনের দিনে বসিরহাট লোকসভা এলাকার কোনও গ্রাম থেকেই বোমার শব্দ কানে আসেনি। চলেনি লাঠি-গুলি। বুথ দখলের বড় কোনও ঘটনা ঘটছে বলে পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনীর দৌড়-ঝাঁপ লক্ষ করা যায়নি। গত পঞ্চায়েত ভোটে আঙুলে কালি লাগাতে না পারার আফসোস ছিল অনেকের। এ বার তাঁরা বুথে গিয়ে বোতাম টিপে ভোট দিয়ে সেই ক্ষোভ মেটান। আপাতদৃষ্টিতে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া মোটামুটি রবিবার নির্বিঘ্নেই ভোট শেষ হয়।

কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পরে বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটারদের অনেককে ঘর থেকে বেরোতে দেয়নি তৃণমূল। বুথ জ্যাম, বুথ দখল করা হয়েছে কোথাও কোথাও। ছাপ্পা ভোট হয়েছে। বিরোধীদের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, বাদুড়িয়ার অন্তত ৫০টি বুথে ছাপ্পা হয়েছে বলে দাবি করে কংগ্রেস প্রার্থী কাজি আব্দুর রহিম দিলু বলেন, ‘‘মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় বুথে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেকের আঙুলে কালি লাগিয়ে ছাপ্পা দেয় শাসকদল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’ তাঁর বক্তব্য ছাপ্পা বন্ধ করতে বুথে ঢোকার অধিকার নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ফলে নির্বাচন কমিশনের বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর সুযোগ নিয়ে শাসক দলের পক্ষে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে।’’

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শ্রীদীপ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বসিরহাট লোকসভার ৭৫টি বুথে পূনরায় ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’’

বসিরহাট লোকসভার তৃণমূলের আহ্বায়ক ফিরোজ কামাল গাজি অবশ্য বলেন, ‘‘ভোট সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। মানুষ বুথে গিয়ে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। আসলে পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ায় পরাজয় নিশ্চিত বুঝে বিরোধীরা ফের ভোট চাইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE