Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বড়মার কাছে ত্বহা সিদ্দিকি, দিলেন সম্প্রীতির বার্তা

সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বড়মাকে পাশে বসিয়ে রাজ্যে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। রবিবার সন্ধ্যায় ত্বহা সিদ্দিকি গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্মের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে এসে বড়মার সঙ্গে দেখা করেন।

সম্প্রীতির বন্ধন। ঠাকুরবাড়িতে বড়মার সঙ্গে ত্বহা সিদ্দিকি। নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রীতির বন্ধন। ঠাকুরবাড়িতে বড়মার সঙ্গে ত্বহা সিদ্দিকি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৯
Share: Save:

সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বড়মাকে পাশে বসিয়ে রাজ্যে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।

রবিবার সন্ধ্যায় ত্বহা সিদ্দিকি গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ধর্মের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে এসে বড়মার সঙ্গে দেখা করেন। বড়মাকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেব না। এই কথাই বলতে এসেছি। দেশের মধ্যে সম্প্রীতির সবথেকে বড় জায়গা হল আমাদের রাজ্য। হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ভাঙার যে চক্রান্ত চলছে সেটা নষ্ট করবই।’’

এ দিন বিকেলে ত্বহা বাগদায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। সেখানেই অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। তখনই তাঁকে ঠাকুরবাড়িতে এসে বড়মার সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণ জানান সাংসদ। ত্বহা রাজি হয়ে যান। তার পর সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ ত্বহা ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছান। তাঁকে মানব বন্ধনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস ও জেলা যুব তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস। নিজের ঘর সংলগ্ন বারান্দায় বসে বড়মা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বারান্দায় ঢুকে ত্বহা বড়মার হাত ধরে সৌজন্য জানান। তারপর তিনি বড়মার গলায় একটি রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে তাঁর পাশে বসেন। মমতাদেবী ত্বহাকে বড়মার স্বামী প্রয়াত প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের জীবন সম্পর্কে জানান।

ত্বহা বড়মাকে ফুরফুরা শরিফে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘‘আপনি ফুরফুরা শরিফে আসলে খুশি হব। বৌমার (মমতা ঠাকুর) সঙ্গে আসুন।’’ ত্বহা বড়মাকে জানান, শুধু মন্দিরে পুজো দিয়ে বা মসজিদে নমাজ পড়ে ধর্মগুরু হওয়া যায় না। ধর্মগুরু হতে গেলে মানুষের চোখের জল মোছাতে হবে। বড়মা তাতে সায় দিয়ে জানান, হিন্দু ও মুসলিমে কোনও পার্থক্য নেই। সকলেই মানুষ।

ঠাকুরবাড়ি সূত্রের খবর, অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ মাঝেমধ্যেই ঠাকুরবাড়িতে আসেন। কিন্তু ত্বহার মতো মুসলিম ধর্মীয় নেতা এই প্রথম ঠাকুরবাড়িতে এসে বড়মার সঙ্গে দেখা করলেন।

ত্বহার কথায়, ‘‘বড়মার কথা শুনেছি। আমরা মানুষকে ভালোবাসি। ধর্ম মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE