ইছামতী নদীর ধারে গড়ে ওঠা বহু পুরনো শহর বসিরহাট। পুরসভায় মোট ২৩টি ওয়ার্ড। ভোটারের সংখ্যা ১,০৫,৯৫ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যাটাও খুব কম নয়।
যাঁদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, হল শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইটিন্ডা রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ বলে মনে করেন তাঁরা। বিকল্প রাস্তার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে। যানজট লেগেই থাকে। পুরনো নাগরিকদের কাছে যা অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গেলেও নতুন প্রজন্ম এই অব্যবস্থা মেনে নিতে নারাজ।
বারাসাত কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মেঘনা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জামরুলতলা এলাকায় ইটিন্ডা রাস্তার ধারে। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথম দেশের নাগরিক পরিচয়ে ভোট দিতে পারব বলে খুব আনন্দ হচ্ছে। তবে যে-ই জিতুক না কেন, আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের পাশাপাশি শহর পরিষ্কার রাখতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডাস্টবিন, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য মানুষকে সচেতন করতে ধারাবাহিক প্রচার চালাতে হবে। ইটিন্ডা রাস্তায় নিত্য যানজটের হাত থেকে মুক্তির ব্যবস্থা হোক।’’ তাঁর মতে, নতুন ছেলেয়েদের কাছে সময়ের দাম অনেক। গতিময় জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা কাজে ছুটতে হয় তাঁদের। যানজটের সমস্যার সুরাহা করাটা পুরসভার প্রাথমিক কাজ হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। মেঘনা বলেন, ‘‘এত দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে লাইনে দাঁড়ানোর পরেও ভোট দিতে পারতাম না। কাকুরা হয় তো আঙুলে একটু কালি ছুঁইয়ে দিতেন। তাতেই খুশি হয়ে যেতাম। আর এ বার সত্যি সত্যি আমার মতামতেরও একটা মূল্য থাকবে বোর্ড গঠনে, ভাবতেই রোমাঞ্চ হচ্ছে।’’ কোন পোশাকে ভোট দিতে যাবে, তা-ও ভেবে রেখেছেন তরুণী ভোটারটি। জানালেন, নীল রঙের জিনসের সঙ্গে সাদা রঙের টপ পরবেন। চোখে থাকবে রোদ চশমা।