E-Paper

 কপিলমুনির মন্দিরের সামনে বাড়ছে ভাঙন, ঠেকানোর উদ্যোগ

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙন রোধ না করলে কপিলমুনির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসন পাকাপাকি ভাবে কিছু ব্যবস্থা করছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৭
তটের ভাঙন পরিদর্শন করছেন মন্ত্রী। ছবি: সমরেশ মণ্ডল

তটের ভাঙন পরিদর্শন করছেন মন্ত্রী। ছবি: সমরেশ মণ্ডল Sourced by the ABP

চলতি মাসে জলোচ্ছ্বাসের জেরে একবার সাগরে কপিলমুনির আশ্রমের সামনের সমুদ্রতট ভেঙেছিল। তারপর পূর্ণিমার কটালে ফের জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যায় কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন স্নানঘাটের কংক্রিটের পথ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙন রোধে এলাকা পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তাঁর আশ্বাস, ‘‘বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভাঙন পরীক্ষা করানো হয়েছে। কী ভাবে মন্দিরের সামনে ভাঙন পাকাপাকি রোধ করা যায় তা নিয়ে ৩০ জুলাই উচ্চ পর্যায়ের পরিদর্শন হবে।’’

এ দিন ভাঙন পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাগরের বিডিও কানাইয়াকুমার রায়, গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের (জিবিডিএ) এগ্‌জ়িকিউটিভ আধিকারিক নীলাঞ্জন তরফদার ও সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, ভাঙন ঠেকানোর প্রযুক্তি নিয়ে চেন্নাই আইআইটির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আপাতত সুরক্ষিত রয়েছে কপিলমুনির মন্দির ও আশ্রম।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙন রোধ না করলে কপিলমুনির ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসন পাকাপাকি ভাবে কিছু ব্যবস্থা করছে না। শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘কপিলমুনির মন্দির থেকে সমুদ্রের দূরত্ব ৫০০ মিটার। যে ভাবে সমুদ্রের পার ক্ষয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মন্দির সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে পাইলট প্রজেক্টের কাজ হয়। তার চিহ্নমাত্র নেই সমুদ্রতটে।’’

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক’দিন আগেই ধসের জেরে সমুদ্রের গর্ভে চলে যায় গঙ্গাসাগর ২ নম্বর থেকে ৫ নম্বর যাওয়ার রাস্তা। ৪ নম্বর রাস্তায় কংক্রিটের প্রায় ১০ ফুট রাস্তা বিলীন হয়ে গিয়েছিল সমুদ্রগর্ভে। এ বার ফের ধসে পড়েছে ৪ নম্বর রাস্তার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট কংক্রিটের অংশ। বারবার ভাঙনের জেরে মন্দির সংলগ্ন এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের সাগরে নামতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

ভাঙন ঠেকানোর জন্য বরাদ্দ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাজেটে সুন্দরবনে দুর্যোগ মোকাবিলায় এক টাকাও বরাদ্দ করা হয়নি। যত বঞ্চনা করবে, তত এ রাজ্যে বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস পাল্টা বলেন, ‘‘কেন্দ্র আবাস যোজনা-সহ অন্যান্য খাতে টাকা দিলেও বলা হচ্ছে বঞ্চনা। বিপুল দুর্নীতির কারণে রাজ্য সরকার বিভিন্ন খাতে খরচের হিসেব এখনও দিতে পারেনি। নতুন করে অতিরিক্ত বরাদ্দ চায় কী ভাবে?’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kapil Muni Ashram gangasagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy