—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঝড়খালির লস্করপুরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে বিদ্যুতের সাব স্টেশন। এর ফলে সংলগ্ন এলাকার বিদ্যুতের সমস্যা মিটবে বলে দাবি প্রশাসনের।
বাসন্তীর ঝড়খালি, নফরগঞ্জ, জ্যোতিষপুর, ভরতগড়-সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সমস্যা সমাধানের জন্য বার বার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন করেছেন এলাকার মানুষ। গত বছর ২৩ অগস্ট বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন। এরপরেই রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর ঝড়খালির লস্করপুর মৌজায় একটি ৩৩ কেভি সাব স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে এটি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সাব স্টেশন তৈরির জন্য জমি শনাক্ত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার (দক্ষিণ) পার্থপ্রতিম দত্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রিজিওনাল ম্যানেজার নির্মলকান্তি বিশ্বাস, ক্যানিং সাব-ডিভিশনাল ম্যানেজার সুজিত গোলদারেরা এলাকায় এসে সেই জমি ঘুরে দেখেন। ছিলেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলেরাও।
বাসন্তীর হোগল নদীর পূর্ব পাড়ে সোনাখালির দিকে বিদ্যুতের সাব স্টেশন রয়েছে। ফলে সে দিকে বিদ্যুৎয়ের তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু নদীর অন্য প্রান্তের ৬টি পঞ্চায়েতের মানুষ লোডশেডিং এবং লো ভোল্টেজের সমস্যায় জর্জরিত। বিধায়ক বলেন, “এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার কথা জানিয়ে আসছেন। আমিও দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। বিধানসভায়ও বিষয়টি উত্থাপন করেছি। তাতেই রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এখানে সাব স্টেশন তৈরির উদ্যোগ করেছে। জমি শনাক্ত হয়ে গিয়েছে। অধিগ্রহণের পরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আগামী অর্থবর্ষেই এই সাব স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হবে।”
বিদ্যুৎ বিভাগের ক্যানিং সাব-ডিভিশনাল ম্যানেজার বলেন, “প্রায় ১ একর জমি শনাক্ত করা হয়েছে। এই এলাকায় সাব স্টেশন তৈরি হলে ঝড়খালি-সহ আশপাশের এলাকার বিদ্যুৎতের সমস্যা মিটবে।”
এলাকার বাসিন্দা সুকদেব সানা, রথীন সর্দারেরা বলেন, “বিদ্যুৎয়ের জন্য ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাষবাস— সবেতেই সমস্যা হয়। পর্যটকেরা এসেও অসুবিধায় পড়েন। সাব স্টেশন দ্রুত তৈরি হোক, যাতে এই সমস্যার সমাধান হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy