এখানেই তৈরি হবে বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র
মতুয়াদের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামাঙ্কিত প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বারাসতের যাত্রা উৎসবে এসে এই শিলান্যাস করে তিনি জানিয়েছেন, মতুয়াদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস কৃষ্ণনগরেও করা হবে। গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায় কৃষি দফতরের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি হচ্ছে।
ধর্মগুরুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সরকারি পদক্ষেপে মতুয়া ভক্তেরা আনন্দিত। সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পরে বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের মতুয়া সমাজের মানুষের কাছে আজ একটি স্মরণীয় দিন। মতুয়ারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর শিক্ষার প্রসারে সারা জীবন কাজ করেছেন। গুরুচাঁদ ঠাকুর গ্রাম বাংলায় বহু স্কুল তৈরি করেছিলেন। তাঁদের সেই অবদানকে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকৃতি দিলেন।’’
গত বছর ১৫ নভেম্বর ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানি ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরির জন্য চাঁদপাড়ায় কৃষি দফতরের জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য ১৫ নভেম্বর তারিখেই ওই জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি-সংক্রান্ত বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।
কৃষি দফতরের অধীন ৮.৮ একর জমির উপরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কৃষি দফতরের ওই জমি উচ্চশিক্ষা দফতরকে হস্তান্তর করা হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চলছে।
প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করবে পূর্ত দফতর। এখন ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। রাজ্য সরকার কয়েক বছর আগেই ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রাক্তন সঙ্ঘাধিপতি প্রয়াত প্রথমরঞ্জন ঠাকুরের নামে সরকারি কলেজ তৈরি করে দিয়েছিল। মতুয়া ধর্মপ্রচারক রবি হালদার বলেন, ‘‘আমরা খুবই খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমাদের আর কেউ সম্মান দেননি।’’
বনগাঁ মহকুমায় চারটি কলেজ থাকলেও কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ফলে এলাকার কলেজ পড়ুয়াদের নানা প্রয়োজনে বারাসতে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটতে হত। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলে এলাকায় উচ্চশিক্ষার প্রসার ঘটবে বলে বাসিন্দারা মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy