কয়েক দিন পরেই শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া। কিন্তু তার আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো একটি নির্দেশিকা পেয়ে চিন্তিত কাকদ্বীপ মহকুমার সরকার পোষিত স্কুলগুলি। সেই নির্দেশিকার বয়ান অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করাতে গেলে জন্মের শংসাপত্র বাধ্যতামূলক। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ছাত্রের আগের স্কুলের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) লাগবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, নির্দেশিকাটি নতুন নয়। তবে এতদিন কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখানো হতো। কিন্তু এ বার তার অবকাশ থাকবে না।
পুজোর ছুটি শেষ হলেই রাজ্যের অন্যান্য মহকুমার মতো কাকদ্বীপ মহকুমাতেও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ঠিক আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশিকায় ফাঁপরে পড়েছে স্কুলগুলি। কারণ গত বছর পর্যন্ত জন্মের শংসাপত্র ছাড়াই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে এসেছে এরকম পড়ুয়ার সংখ্যা নেহাত কম ছিল না।
কাকদ্বীপ বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধানদের শংসাপত্র নিয়ে এলেও ভর্তি করতে অসুবিধা নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটিও থাকে না।’’ কাকদ্বীপ শিশুশিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ প্রামাণিকের ক্ষোভ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম বলছে, কোনও নথি না থাকলেও ভর্তি নিতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নিয়ম উল্টো। আমরা কোন পথে যাব?’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকেই বহু বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কাকদ্বীপে এসে মাছ ধরার কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁদের ভোটার কার্ড হয়নি। সন্তানদের জন্মের শংসাপত্র নেই। এছাড়াও মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও বাড়িতে সন্তান প্রসব হয়। সেই নবজাতকদের জন্মের শংসাপত্র থাকে না।
নির্দেশিকা পেয়ে চিন্তিত শিক্ষক সংগঠনগুলি। বাম শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক রবীন রায় বলেন, ‘‘আইন তো মানতেই হবে। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সেটি পুলিশ-প্রশাসনের দেখা উচিত।’’ তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি অজিত নায়েকের কথায়, ‘‘কেউ স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না এটা হওয়া উচিত নয়।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাদলকুমার পাত্র জানান, রাজ্য সরকার যে নিয়ম করেছে সেটি স্কুলগুলিতে মানতে হবে। পরে সমস্যা হলে ভাবা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy