E-Paper

গাঁয়ের  বধূর কথা

কী হলে ভাল হয়: এখানে কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। আগুন লাগলে বনগাঁ শহর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসে। দমকল কেন্দ্র খুবই প্রয়োজন।

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৫১
নিজের দোকানে স্বপ্না রায়।

নিজের দোকানে স্বপ্না রায়।

স্বপ্না রায়

* বাড়ি: বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা পঞ্চায়েত।

* গ্রামে কী সমস্যা চোখে পড়ে: পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছয়নি। জল কিনে খেতে হয়। ভারী বর্ষায় কিছু এলাকায় জল জমে। সর্বত্র নিকাশি নালা তৈরি হয়নি।

* কী হলে ভাল হয়: এখানে কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। আগুন লাগলে বনগাঁ শহর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসে। দমকল কেন্দ্র খুবই প্রয়োজন। বাড়ি থেকে আবর্জনা গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।

* পাড়া-পড়শির সঙ্গে ভোট নিয়ে কথা হয়: না, ভোট নিয়ে বা রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না।

* কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে পরিবারের কেউ বোঝানোর চেষ্টা করেন: ভোট যে যার ব্যক্তিগত বিষয়। পরিবারের কেউ কাউকে চাপ দেয় না।

* মিটিং-মিছিলে বেরোতে হয়: না, কোনও রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে কখনও বেরোইনি।

* গ্রামের পথঘাটে একা বেরোতে কতটা নিরাপদ বোধ করেন: আমি আর আমার স্বামী একটি দোকান সামলাই। রাত ১২টার সময়ে বাড়ি ফিরি। কোনও সমস্যা হয় না।

ঘরকন্যার কাজে ব্যস্ত সুতপা।

ঘরকন্যার কাজে ব্যস্ত সুতপা।

সুতপা কীর্তনিয়া

* বাড়ি: হেলেঞ্চা পঞ্চায়েত এলাকায়।

* গ্রামে কী সমস্যা চোখে পড়ে: বৃষ্টি হলে রাস্তায় জল জমে থাকে। রাস্তায় আলো থাকলেও নিয়মিত জ্বলে না। সর্বত্র পাকা নিকাশি নালা নেই। কিছু রাস্তা খারাপ।

* কী হলে ভাল হয়: সংস্কারের অভাবে কোদালিয়া নদী মৃতপ্রায়। নদী সংস্কার জরুরি। রেলপথ নেই। সেটা দরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি দরকার। বিশেষ করে রাতের দিকে। সিঙ্গি এলাকায় কোদালিয়া নদীর উপরে কংক্রিটের সেতু প্রয়োজন। রাত সাড়ে ৯টার পরে বনগাঁ থেকে আসার কোনও বাস নেই।

* পাড়া-পড়শির সঙ্গে ভোট নিয়ে কথা হয়: না, এ সব নিয়ে আলোচনা করি না।

* কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে পরিবারের কেউ বোঝানোর চেষ্টা করেন: ভোট ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। পরিবারের সদস্যেরা আমাকে ভোট দিতে আবেদন করেন। তবে আমি শুনি না। নিজে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিই।

* মিটিং-মিছিলে বেরোতে হয়: না, সেই অভিজ্ঞতা নেই।

* গ্রামের পথঘাটে একা বেরোতে কতটা নিরাপদ বোধ করেন: রাতে নির্ভয়ে যাতায়াত করি। কোনও অসুবিধা হয় না। রাস্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারের দেখা মেলে।

ঘর গোছানোর কাজে ব্যস্ত রিনা।

ঘর গোছানোর কাজে ব্যস্ত রিনা।

রিনা বিশ্বাস

* বাড়ি: হেলেঞ্চা পঞ্চায়েত এলাকায়।

* গ্রামে কী সমস্যা চোখে পড়ে: অনেক জায়গায় রাস্তায় আলো নেই। সব জায়গায় নিকাশি নালা নেই। বর্ষায় জল জমে। কয়েকটি রাস্তা বেহাল। পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হলেও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছয়নি।

* কী হলে ভাল হয়: এখানে শ্মশানে কোনও বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। বনগাঁ শ্মশানে যেতে হয়। একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রয়োজন। আমাদের এলাকাটি কৃষিপ্রধান। কিন্তু এখানে সরকারি ভাবে কোনও হিমঘর তৈরি হয়নি।

* পাড়া-পড়শির সঙ্গে ভোট নিয়ে কথা হয়: রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না।

* কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে পরিবারের কেউ বোঝানোর চেষ্টা করেন: পরিবারে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু কাকে ভোট দিতে হবে, তা কেউ বোঝায় না বা চাপ দেয় না।

* মিটিং-মিছিলে বেরোতে হয়: স্বামী একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আমি কখনও মিটিং-মিছিলে যাইনি।

* গ্রামের পথঘাটে একা বেরোতে কতটা নিরাপদ বোধ করেন: রাতে বাড়ি থেকে তেমন বেরোই না। বেরোলেও সঙ্গে কেউ থাকেন। তবে ভয় লাগে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panchayat Election House Wife

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy