E-Paper

গরম বাড়তেই পানীয় জলের সমস্যা, ভোগান্তি

কর্ণখালি গ্রামের মাঝের পাড়ায় শতাধিক মানুষের বাস। বাসিন্দারা জানান, গ্রামে প্রায় ১০-১৫ বছরের পুরানো একটি নলকূপ আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫৪
অকেজো কল।

অকেজো কল। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।

গরম পড়তেই জল উঠছে না এলাকার নলকূপে। পানীয় জল সংগ্রহ করতে যেতে হচ্ছে পাশের পাড়ায়। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই এলাকার মানুষের। এমনই পরিস্থিতি সন্দেশখালি ২ ব্লকের কর্ণখালি মাঝের পাড়ার। গ্রামবাসীদের দাবি, বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোনও ফল হয়নি।

কর্ণখালি গ্রামের মাঝের পাড়ায় শতাধিক মানুষের বাস। বাসিন্দারা জানান, গ্রামে প্রায় ১০-১৫ বছরের পুরানো একটি নলকূপ আছে। সেটা প্রতি বছরের মতো এ বারও গরমের শুরুতেই অকেজো হয়ে গিয়েছে। এখন গ্রামবাসীদের বেশ কিছুটা পথ পেরিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবের কাছে নলকূপ থেকে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অভিযোগ, এমনিতেই এলাকার রাস্তাঘাট বেহাল। চড়া রোদে সেই রাস্তা দিয়েই জল বয়ে আনতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুভদ্রা সর্দার বলেন, “বাড়ির চার দিকে খাল। তাই বাড়ির পুকুরের জলও নোনা। বাড়িতে নলকূপ বসালেও গরমে জল ওঠে না। গ্রীষ্মে এলাকার নলকূপ অকেজো হয়ে যাওয়ায় দূরের সরকারি নলকূপ থেকে জল এনে খেতে হয়। সেই সঙ্গে স্নান, বাসন ও জামা কাপড় ধোওয়ার জন্যেও জল বয়ে নিয়ে আসতে হয়। দিনে দু’তিন বার করে দূরের নলকূপে জল আনতে যেতে হয়। লম্বা লাইন পড়ে। অনেক সময় যায়। রোদের মধ্যে খুব কষ্ট হয়।” এই এলাকায় নলবাহিত পানীয় জলের লাইন কিছু বাড়িতে এলেও এখনও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। কোনও বাড়িতেই নলবাহিত পানীয় জল পাওয়া যায় না বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। স্থানীয় বাসিন্দা ভারতী মণ্ডল বলেন, “পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু দিন ধরে সরকারি ভাবে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে কর্ণখালিতে। তবে পাড়ার ভিতরে জলের ট্যাঙ্ক ঢুকছে না। ফলে কখন জল দিচ্ছে, তা-ও ঠিক ভাবে জানা যাচ্ছে না। জলের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।”

বাসিন্দারা কয়েক দিন আগে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে। বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানান। পাড়ায় গভীর নলকূপ বসানোরও দাবি জানানো হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিডিও অরুণকুমার সামন্ত বলেন, “আমার কিছু করার নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর দেখছে বিষয়টি।”

হাসনাবাদ জ়োনের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহকারী বাস্তুকার অনীশরঞ্জন ঘোষ বলেন, “পাইপ লাইন বসানোর কাজ ভোটের জন্য বন্ধ আছে। আবার দ্রুত শুরু হবে। জলের ট্যাঙ্ক আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি পাড়ার ভিতরে পৌঁছে দিতে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sandeshkhali

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy