Advertisement
২০ মে ২০২৪

কোমর সমান জল পেরিয়েই যাতায়াত

ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলি স্কুলে যাচ্ছে। ব্যাগে বাড়তি পোশাক। কারণ, প্রায়দিনই স্কুলে যাওয়ার পথে জমা জলে স্কুলের জামা ভিজে একাকার হয়ে যায়। মগরাহাট ২ ব্লকের পশ্চিম পঞ্চায়েত এলাকার রাধানগর খাঁপাড়া থেকে মগরাহাটে যাওয়ার রাস্তার এমনই দশা।

ক’দিন আগেও ছিল এই হাল। নিজস্ব চিত্র।

ক’দিন আগেও ছিল এই হাল। নিজস্ব চিত্র।

দিলীপ নস্কর
মগরাহাট শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share: Save:

ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলি স্কুলে যাচ্ছে। ব্যাগে বাড়তি পোশাক। কারণ, প্রায়দিনই স্কুলে যাওয়ার পথে জমা জলে স্কুলের জামা ভিজে একাকার হয়ে যায়।

মগরাহাট ২ ব্লকের পশ্চিম পঞ্চায়েত এলাকার রাধানগর খাঁপাড়া থেকে মগরাহাটে যাওয়ার রাস্তার এমনই দশা।

ওই গ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা খাল পাড় ধরে রাধানগর স্টেশনে গিয়েছে। প্রত্যেক বর্ষায় ওই রাস্তায় কোমর সমান জল হয়। সেই জল পেরিয়ে যেতে গেলে জামাকাপড় ভেজে সকলেরই। অনেকে ঘুরপথেও স্টেশনে যায়। এতে সময়ও বেশি লাগে। জলে ডোবা রাস্তা পার হওয়ার জন্য পরনের পোশাক খুলে গামছা পরে নিতে হয় বলে জানান চাষিরা। বর্ষা মিটলেও দীর্ঘ দিন পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে থাকে।

গ্রামের সামনের দিকের রাস্তাটি সোজা চলে গিয়েছে মগরাহাট স্টেশনের দিকে। প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মাটির ছিল। বছর কুড়ি আগে বাম জমানায় কিছুটা রাস্তায় ইট পাতা হয়েছিল। তারপর থেকে ভাল করে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার আর হাল নেই। ইট উঠে গিয়ে কাদা মাটি বেরিয়ে গিয়েছে। সেখানেই জল জমে ছোট ছোট ডোবার আকার নিয়েছে। রাস্তার দু’ধারে আগাছায় ভরা।

কোনও আলোর ব্যবস্থাও নেই। অথচ ওই রাস্তা দিয়ে নৈনান, দাসপুর, শ্যামপুর, কালাপাহাড় চক, রাধানগর খাঁপাড়া, মুসলিম পাড়া-সহ ৮-১০টি গ্রামের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে মগরাহাটে যায়। এ ছাড়া, মগরাহাটে রয়েছে স্কুল কলেজ, কলেজ বিডিও অফিস ও হাট। ফলে রোজই ওই পথ পেরিয়েই চলে যাতায়াত।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রেন লাইন সংযোগ ওই রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। তবুও দিনের বেলায় যাওয়া যায়। সন্ধ্যায় অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

মগরাহাট পশ্চিম পঞ্চায়েতের সদস্য রাধানগর খাঁপাড়ার বাসিন্দা মান্নান খানের অভিযোগ, মগরাহাট যাওয়ার রাস্তাটি বেহাল হওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে লাইনের উপর দিয়ে বাসিন্দারা যাতায়া0ত করেন। একাধিকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে মগরাহাট ২ বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, ‘‘রাস্তাটির অবস্থা সত্যিই খারাপ। রেলের মধ্যে পড়ে। সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পরিষদে পরিকল্পনা করে পাঠানো হয়েছে।’’ খাঁপাড়া গ্রামের রাস্তার জল নেমে গেলে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Water problem Magarhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE