নজর-বন্দি: পুলিশের উর্দিতে লাগানো ক্যামেরা। ছবি: নির্মল বসু
উর্দিতে লাগানো থাকবে ক্যামেরা। রাস্তাঘাটে লোকজনের সঙ্গে কী কথা হচ্ছে পুলিশের, অপরাধ দমনে গিয়ে কেমন পদক্ষেপ করছেন তিনি, সবটাই রেকর্ডিং হয়ে থাকবে সেই ক্যামেরায়।
উর্দির সামনে বোতামের সঙ্গে লাগানো থাকছে ‘বডি ক্যাম।’ ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমার প্রায় প্রতিটি থানার আইসি এবং ওসিদের দেওয়া হয়েছে এই ক্যামেরা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকর্মীরা যতক্ষণ ডিউটি করবেন, ততক্ষণই পোশাকে ক্যামেরা থাকবে। একটি ক্যামেরা টানা আট ঘণ্টা রেকর্ডিং করতে পারে। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে প্রতি থানার একজন সিনিয়র অফিসারকে নজরদারি চালানোর জন্য এই ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তিতে ট্রাফিক পুলিশের উর্দিতেও ওই ক্যামেরা দেখা যাবে। আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলিতে অনেক আগে থেকেই পুলিশের পোশাকে বডি ক্যাম লাগানো থাকে বলে জানাচ্ছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা।
ছবি তো বটেই, শব্দও রেকর্ড হবে এই ক্যামেরায়। অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশ কেমন ব্যবহার করল, দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে কী ধরনের অসুবিধায় পড়তে হল— সবই জানা যাবে রেকর্ডিং থেকে। পুলিশ কী কী কাজ করল, তা-ও জানা যাবে।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘অনেক সময়েই পথেঘাটে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ সম্পর্কে ভূল বার্তা যায়। বড়কর্তাদের বকুনির মুখেও পড়তে হয়। এ বার ক্যামেরায় রেকর্ডিং থেকে জানা যাবে, পুলিশকর্মীর ব্যবহার কেমন ছিল। উভয় পক্ষের কথোপকথন জানতে পারবেন কর্তারাও।’’ এক প্রবীণ পুলিশ কর্মীর অভিজ্ঞতায়, ‘‘অপরাধীকে ধরতে গেলে অনেক সময়ে কোনও না কোনও দলের নেতা উপযাজক হিসাবে হাজির হয়ে অপরাধীকে ছাড়াতে আসেন। তকার্তর্কি হয়। পুলিশের উপরে কেউ কেউ হম্বিতম্বিও করেন। অনেক সময়ে প্রমাণের অভাবে সে কথা চাপা পড়ে যায়। এ বার সেই অসুবিধা কমবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy