বেশ কয়েক বছর থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন গ্রামবাসী। কিন্তু লোকালয়ে শুঁটকি মাছের খামার বা ‘খটি’ বন্ধ হয়নি। তাতে কাকদ্বীপের তৃণমূল নেতাদের সম্মতি রয়েছে বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই শুঁটকি মাছের খামার থেকে প্রবল দুর্গন্ধ ছড়ায়। সেখানে ব্যবহার করা হয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক। মাছির উপদ্রবও রয়েছে। খটি সরানোর দাবি অনেক দিনের। কিন্তু অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে প্রায় নীরব ভূমিকায় প্রশাসন।
বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের পশ্চিম স্টিমার ঘাটায় প্রায় ১৩ বিঘে খাস জমির উপরে শুঁটকি মাছের ওই খামার। কয়েক বছর ধরেই তা নিয়েই এলাকাবাসীর আপত্তি রয়েছে। পুজোর পর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কাকদ্বীপ স্টেডিয়ামের পিছনে ওই খামার করেন কিছু ব্যবসায়ী। প্রশাসনের তরফে কোনও ছাড়পত্র নেই। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে একটি তদন্তও করতে বলা হয়েছে। এর আগে শুঁটকি মাছের কারবার হত জম্বুদ্বীপে। সেখান থেকে প্রায় তিন দশক আগে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় সরকার। তারপর থেকে বেশিরভাগ শুঁটকি মাছের খামার সরে গিয়েছে নামখানার কালীস্থান এবং সাগরের প্রত্যন্ত এলাকায়। কিন্তু কাকদ্বীপে কয়েকটি জায়গায় লোকালয়ের মধ্যে এখনও চলছে।