Advertisement
০৪ মে ২০২৪

১৭ কিলোমিটারে নাকাল কুলতলি

রাস্তা জুড়ে খন্দ পথ। কোথাও উঠে গিয়েছে পিচ। কোথাও গর্ত। বৃষ্টি হলে সেগুলি প্রায় ডোবার চেহারা নেয়। কুলতলির জামতলা থেকে হেড়োভাঙা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দশা এমনই। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি

এই পথ দিয়েই চলছে যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।

এই পথ দিয়েই চলছে যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলতলি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৭
Share: Save:

রাস্তা জুড়ে খন্দ পথ। কোথাও উঠে গিয়েছে পিচ। কোথাও গর্ত। বৃষ্টি হলে সেগুলি প্রায় ডোবার চেহারা নেয়। কুলতলির জামতলা থেকে হেড়োভাঙা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দশা এমনই। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আওতায় তৈরি ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাস্তাটি আগে মাটির ছিল। ২০০৬ সালে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সহায়তায় সেটিকে পিচের করা হয়।

কিন্তু তার পর থেকে সংস্কার হয়নি। অথচ এই রাস্তা দিয়েই প্রতি দিন বেসরকারি বাস, ছোট গাড়ি, মোটর ভ্যান চলাচল করে। যাতায়াত করেন মেরিগঞ্জ-১, কুন্দখালি গোদাবর, জা‌লাবেড়িয়া-১ পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ। ওই রাস্তার পাশেই জামতলা বাজারে রয়েছে বিডিও অফিস, হাসপাতাল, কলেজ। প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার ওই বাজারে হাট বসে। ফলে এলাকায় রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম।

বাস মালিকদের ক্ষোভ, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নতুন গাড়ি এনে কয়েক দিন চালানোর পর তা নড়বড় করছে। ফলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, রাস্তার ওই দশার কারণে এলাকায় বিয়ের যোগাযোগ হচ্ছে না।

মেরিগঞ্জ ১ গ্রামের বাসিন্দা আইসিডিএস কর্মী ফতেমা মণ্ডল, কাবেরী হালদারেরা জানালেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজে জামতলায় যেতে হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যাতায়াতে অনেক সময় লাগে। কুন্দখালি গ্রামের বাসিন্দা রহিম মোল্লা, কাদের গাজিদের ক্ষোভ, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে অনেক নেতা আমলা যাতায়াত করেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্যেও তো ওই রাস্তা সারানো উচিত।’’

পরিবহণ কর্মী আলাউদ্দিন শেখ, ছোট গাড়ি চালক রহমান শেখ, বুদ্ধেশ্বর মণ্ডলদের অভিযোগ, ওই রাস্তাটি সারানোর জন্য বহু বার নানা ভাবে আন্দোলন হয়েছে। প্রতি বারই প্রশাসন রাস্তা সারাইয়ের আশ্বাস দিয়েছে। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা এসে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার বলেন, ‘‘সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ওই রাস্তাটি তৈরি করা হলেও তারা এখন সারানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road CM Market
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE