Advertisement
১৮ মে ২০২৪
অভিযোগ প্রাক্তনের বিরুদ্ধে

গাছ কাটার তদন্তে গিয়ে প্রহৃত সভাপতি

গাছ কাটার অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত করতে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ঘটনাস্থলেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে।

আক্রান্ত হাফিজুর।—নিজস্ব চিত্র।

আক্রান্ত হাফিজুর।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জগৎবল্লভপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৬ ০২:৪৫
Share: Save:

গাছ কাটার অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত করতে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ঘটনাস্থলেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে।

রবিবার ঘটনাটি ঘটছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। বর্তমান সভাপতি এবং প্রাক্তন সভাপতি দুজন তৃণমূলেরই। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সমিতির সেই প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইব্রাহিমের অবশ্য দাবি, ‘‘আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। গ্রামবাসীদের হাতেই হাফিজুল মার খেয়েছেন।’’

ঠিক কী হয়েছিল এ দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পোলগুস্তিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সমিতির বাঁধে সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ আসে পঞ্চায়েত সমিতির কাছে। মহম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে গাছ কাটায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তারই তদন্ত করতে এদিন হাফিজুর এসেছিলেন। বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে কয়েকজন ঘিরে ধরে। অভিযোগ, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ইব্রাহিম। দলবল নিয়ে ইব্রাহিম হাফিজুরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। হাফিজুরের গাড়ির চালক বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হাফিজুর এবং তাঁর চালক দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

তৃণমূলের জেলা সদর সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘দলের মধ্যে কারও কাজের সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু প্রকাশ্যে কারও গুন্ডামি দল বরদাস্ত করবে না। এটা দলনেত্রীর নির্দেশ।’’ তিনি জানান, প্রশাসনিক তদন্তের পাশাপাশি দলও সভাপতিকে মারধরের ঘটনার তদন্ত করবে। কেউ দোষী প্রমাণ হলে যত বড় নেতাই হোন না কেন পার পাবেন না।

প্রসঙ্গত, জগৎবল্লভপুরে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই বছর দেড়েক আগে অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হন ইব্রাহিম। ক্ষমতায় আসেন হাফিজুর। এ দিন তাঁর মার খাওয়ার খবর পেয়ে জগৎবল্লভপুর, মুন্সিরহাট প্রভৃতি জায়গায় অবরোধ শুরু করেন অনুগামীরা। তাঁদের অভিযোগ, হাফিজুরকে সরিয়ে সভাপতির পদে বসতে চাইছেন ইব্রাহিম। যেহেতু নিয়ম আছে আড়াই বছরের আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না, তাই নিরুপায় ইব্রাহিম পদত্যাগ করার জন্য হাফিজুলকে বেশ কয়েকদিন ধরে হুমকি দিচ্ছিলেন। কিন্তু হুমকির কাছে হাফিজুল মাথা নত না করায় তাঁকে মারধর করা হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

investigation Sabhpati
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE