Advertisement
E-Paper

টাকার অভাবে মরসুমি চাষের ক্ষতি বসিরহাটে

শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। কিন্তু খদ্দেরের দেখা নেই। সামনেই আসছে বড়দিন। বেশ কিছু কেকের দোকানও খোলা হয়েছে। সেখানেও একই অবস্থা। টাকার অভাবে সব ব্যবসারই ক্ষতি হচ্ছে। বড়দিনের উৎসব এ বার মাটি হয়ে গেল বলে জানান বসিরহাটের এক কেক ব্যবসায়ী।

নির্মল বসু

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫১
শাসনে সুদীপ ঘোষের তোলা ছবি।

শাসনে সুদীপ ঘোষের তোলা ছবি।

শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। কিন্তু খদ্দেরের দেখা নেই। সামনেই আসছে বড়দিন। বেশ কিছু কেকের দোকানও খোলা হয়েছে। সেখানেও একই অবস্থা।

টাকার অভাবে সব ব্যবসারই ক্ষতি হচ্ছে। বড়দিনের উৎসব এ বার মাটি হয়ে গেল বলে জানান বসিরহাটের এক কেক ব্যবসায়ী। শীতের মরসুমে বেড়াতে যান অনেকেই। হাতে টাকা না থাকায় তাঁরাও এ বার কোথাও যেতে পারছেন না। ইছামতীর ধারে অনেকেই বিকেলে এসে গল্প করতেন। দেখা যেত চড়ুইভাতি করতেও। কিন্তু ইছামতীও ফাঁকা। পর্যটন ব্যবসাও মার খাচ্ছে খুচরো টাকার অভাবে।

মানুষকে এখন বেশি দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্কের লাইনে। না হলে এটিএমের বাইরে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বসিরহাটের এক সব্জি ব্যবসায়ী স্বপন মণ্ডলের কথায়, ‘‘ছোট নোটের অভাবে অধিকাংশ খরিদ্দার আসছেন না। দু’হাজার টাকার নোটের ভাঙানি দিতে পারছি না।’’ মাছ ব্যবসায়ী গফ্ফর গাজির কথায়, ‘‘বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে। এরপর কী ভাবে যে ব্যবসা বাঁচাব, জানি না। এ ভাবে চলতে থাকলে সংসার চালানো দায় হয়ে যাবে।’’ মাংস বিক্রেতারা জানান, আগে দিনে প্রায় পাঁচটি খাসি বিক্রি হতো। এখন দিনে একটা বিক্রি করতেই নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।

মাসের প্রথম রবিবারে যে ভাবে ফ্রিজ-টিভি বিক্রি হয় ইলেকট্রনিক্সের দোকানগুলিতে, সেখানেও তেমন ভিড় নেই। খুচরো টাকার প্রয়োজন নেই ওই সমস্ত দোকানগুলিতে ঠিকই। কিন্তু তবু মানুষ সাহস করে বেশি টাকা খরচ করে দামি জিনিস কিছু কিনছেন না, ইদানীং বলছেন বসিরহাটের ব্যবসায়ীরা।

Seasonal Agriculture Facing Trouble Currency Crisis Bashirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy