ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ-অনুষ্ঠানে আর পৌঁছতে পারলেন না প্রমীলা রায় বিশ্বাস। রেল অবরোধে দেরি হয়ে গেল অনেকটাই। ট্রেনে বসেই শুনলেন, রেললাইনে উদ্ধার হয়েছে এক প্রতিবাদী যুবকের খণ্ডিত দেহ। সেই মৃত্যুর জেরেই অবরোধ। রাজ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকা অসামাজিক কাজকর্ম আর তা রুখতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ গোপন করেননি প্রমীলাদেবী।
তারিখটা একই। ৫ জুলাই। দত্তপুকুরের কলেজছাত্র সৌরভ চৌধুরীর অকালমৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ভাবেই তাঁকে মিলিয়ে দিল আর এক অকালপ্রয়াত তরুণ প্রতিবাদীর সঙ্গে। দু’বছর আগে এই তারিখেই খুন হয়েছিলেন প্রমীলাদেবীর ভাই বরুণ বিশ্বাস।
২০১২-র ৫ জুলাই সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে গোবরডাঙা স্টেশন চত্বরে গুলিতে খুন হন শিয়ালদহ মিত্র ইনস্টিটিউশনের (মেন) বাংলার শিক্ষক, বছর আটত্রিশের বরুণ। তাঁর অপরাধ, গাইঘাটার সুটিয়ায় গণধর্ষণ-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্মের নিয়মিত প্রতিবাদ করতেন তিনি। ওই খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জনকে ধরেছে সিআইডি। কয়েক মাস আগে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে মারা গিয়েছে সুটিয়ার গণধর্ষণ এবং বরুণের খুনে প্রধান অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী।