Advertisement
০৬ মে ২০২৪

কাঁঠালবেড়িয়া, হাইকোর্টের নির্দেশে পদে ফিরলেন অপসারিত প্রধান

হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েতের প্রধান পদে পুনর্বহাল হলেন তৃণমূলের প্রধান। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতে ওই দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুলা নাসরিন লস্কর। মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘হাইকোর্ট গত সোমবার বিডিওকে এক নির্দেশে জানিয়েছে, বুলা নাসরিনকে তিন দিনের মধ্যে প্রধান পদে বহাল করতে হবে। সেই মতোই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share: Save:

হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েতের প্রধান পদে পুনর্বহাল হলেন তৃণমূলের প্রধান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতে ওই দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুলা নাসরিন লস্কর। মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘হাইকোর্ট গত সোমবার বিডিওকে এক নির্দেশে জানিয়েছে, বুলা নাসরিনকে তিন দিনের মধ্যে প্রধান পদে বহাল করতে হবে। সেই মতোই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ১২ জন সদস্য। আরএসপির ছিল ৭ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে পঞ্চায়েত গঠন করে তৃণমূল। সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান হন বুলা। দলের অন্দরের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে বুলার স্বামী আমান লস্করের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় ব্লক সভাপতি মন্টু গাজির। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মন্টু আবার গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের অনুগামী। আমান বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্করের অনুগামী বলেই পরিচিত।

সম্প্রতি, জেলার যুব তৃণমূল নেতৃত্ব আমানকে বাসন্তীর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, জয়ন্তবাবু ও মন্টু গাজিরা তার বিরোধিতা শুরু করেন। শেষমেশ, ওই পঞ্চায়েত থেকে বুলাকে সরাতে উঠে পড়ে লাগেন মন্টুরা। স্ত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে সরাতে পারলে স্বামীর প্রভাব ক্ষুণ্ণ হবে, এই ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের ধারণা।

ওই পঞ্চায়েতের সদস্যেরা বুলার বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন। ২৯ সেপ্টেম্বর অনাস্থার উপরে ভোটাভুটিতে ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন সদস্য যোগদান করে প্রধানকে অপসারণ করেন। নতুন প্রধান হন আরএসপি থেকে তৃণমূলে আসা শাবানা সর্দার।

এ দিকে, নিয়ম না মেনে তাঁকে অন্যায় ভাবে প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বুলা। সেই মতোই, ৭ নভেম্বর হাইকোর্ট বিডিওকে নির্দেশ দেয়, বুলা নাসরিনকেই পুনরায় প্রধান পদে বসাতে হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার এসডিও, বিডিও-র উপস্থিতিতে বুলা ফের প্রধানের চেয়ারে বসেন।

বুলার কথায়, ‘‘আমাকে অন্যায় ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। আমি আনন্দিত যে আমার আবেদনে ভুল ছিল না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মানুষ সব দেখছেন। তাঁরাই বিচার করবেন।’’

এ দিকে, মন্টুর বক্তব্য, ‘‘এটা দলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নয়। আসলে প্রধানের নানা অনৈতিক কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে সদস্যেরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। তবে বিচারব্যবস্থার উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’’

শুক্রবার হাইকোর্টে ফের শুনানি ছিল। প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তবে আগের নির্দেশই বহাল রেখেছেন বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য হয়েছে ২৮ নভেম্বর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC High court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE