শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে পটলপাতা।
বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর জয়পুরে। ঝড়ে বিদ্যুতের ছেঁড়া তার পায়ে জড়িয়ে আরও এক মহিলা মারা গিয়েছেন পাল্লায়। সোমবার রাত পর্যন্ত দু’জনেরই পরিচয় অজ্ঞাত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিবার বিকেলের ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে বনগাঁ মহকুমার অনেক জায়গায় ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ফলে চিন্তায় চাষিরা।
এই হাল হয়েছে শশার।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিককোল, সাইলি, গণেশপুর, হুদা, বিষ্ণপুর, নওদা-সহ বেশ কিছু গ্রামে কয়েক হাজার চাষি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার কৃষি অধিকর্তা অরূপ দাস বলেন, ‘‘শিলাবৃষ্টিতে পাট ও সব্জির ক্ষতি হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ক্ষতির পরিমাণ জানতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’ এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। প্রবল গরমের পরে বহু দিন পরে বৃষ্টি হওয়ায় সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ঠিকই, কিন্তু ১৫-২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। সোমবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পাটের ডগা ভেঙে পড়ে আছে। পাতা ঝড়েছে। ঝিঙে ফেটে গিয়েছে। পটলের মাচা ভাঙা। মানিককোল গ্রামের চাষি মুজিবর মণ্ডলের কথায়, ‘‘চার বিঘে জমিতে শশা, পটল, পাট চাষ করেছিলাম। শিলাবৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল।’’ ওই এলাকার চাষি গোবিন্দ বিশ্বাসেরও একই অবস্থা।
সাইলি গ্রামে চাষের ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সইফুদ্দিন মণ্ডল জানান, এলাকার কয়েক হাজার বিঘের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বনগাঁ ব্লকের কৃষি আধিকারিক শঙ্করকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘পাটের ডগা ভেঙে গেলে সেই পাটে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।’’ কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে হাবরা ও অশোকনগরেও কিছু এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy