Advertisement
E-Paper

গ্রামবাসীর বাধা, অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে ফিরে এল প্রশাসন

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, মাতলা নদীর চরের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মঙ্গলবার ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় অঞ্চল থেকে ফিরে আসতে হল প্রশাসনের কর্তাদের। মহকুমাশাসক (ক্যানিং) প্রদীপ আচার্য বলেন, “কোর্টের নির্দেশ পালন করতে যাওয়া হয়েছিল। গ্রামবাসীরা বাধা দেন। সামনে দেড়শো-দু’শো মহিলা এবং শিশু ছিল। আমাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ওঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওঁরা শোনেননি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০২:৪২
এই সবই অবৈধ নির্মাণ।

এই সবই অবৈধ নির্মাণ।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, মাতলা নদীর চরের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মঙ্গলবার ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় অঞ্চল থেকে ফিরে আসতে হল প্রশাসনের কর্তাদের।

মহকুমাশাসক (ক্যানিং) প্রদীপ আচার্য বলেন, “কোর্টের নির্দেশ পালন করতে যাওয়া হয়েছিল। গ্রামবাসীরা বাধা দেন। সামনে দেড়শো-দু’শো মহিলা এবং শিশু ছিল। আমাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ওঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওঁরা শোনেননি।” আজ, বুধবার এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে মহকুমাশাসক জানান।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্যানিংয়ের মাতলার চরের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য জনস্বার্থে হাইকোর্টের গ্রিন বেঞ্চে মামলা হয়েছিল। গত ৪ মার্চ হাইকোর্ট প্রশাসনকে ওই সব নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। সেই মতো এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ক্যানি-১ ব্লকের বিডিও বুদ্ধদেব দাস এবং সিআই রতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রশাসনের কিছু কর্তা এবং পুলিশ মাতলা সেতু সংলগ্ন দিঘিরপাড় এলাকায় পেঁৗঁছয়।

তাঁদের দেখে সেখানে গ্রামবাসীরা প্ল্যাকার্ড এবং ফেস্টুন নিয়ে ‘নিজ ভূমি বাঁচাও কমিটি’ গড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সামনের সারিতে ছিলেন মহিলা ও শিশুরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শাসক দলের নেতারাই প্রায় ২০ হাজার টাকায় চরের ফাঁকা জমিতে তাঁদের বসবাসের জায়গা করে দিয়েছিলেন। তৃণমূল এ কথা মানেনি।

আগে এলাকার অবৈধ মেছোভেড়ি এবং নির্মাণ ভাঙা এবং তাঁদের পুনর্বাসনেরও দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। গ্রামবাসীদের মধ্যে অসীমা মণ্ডল, সত্য প্রামাণিকেরা বলেন, “আমরা ভূমিহীন গরিব মানুষ। সরকার যদি আমাদের কোথাও একটু মাথা গোঁজার জায়গা করে দেয় তা হলে আমরা স্বেচ্ছায় চলে যাব।”

southbengal illegal construction canning
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy