সরকারি প্রকল্পের কাজের গতি কমেছে। বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপে সেচ দফতরে মহকুমার প্রশাসনিক বৈঠকে সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি বি সালিম। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (ইন্দিরা আবাস যোজনার পরিবর্তিত নাম), আমার শৌচাগার এবং একশো দিনের কাজের খতিয়ান নিয়ে আলোচনা হয়।
ভোটের জন্য মাস কয়েক ধরে উন্নয়নের কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পরেও কাজে গতি নেই বললেই চলে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, একশো দিনের কাজে কোথাও ২২ দিন, কোথাও আবার তার থেকেও কম দিন কাজ হয়েছে। একশো দিনের কাজে সবথেকে খারাপ অবস্থা সাগর ব্লকের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নামখানা এবং কাকদ্বীপ ব্লকে কাজের গতি খুব কম। এ দিন বৈঠকে হাজির এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীদের একাংশের কাজে গাফিলতির জন্য সরকারি প্রকল্পের গতি কমে গিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে খুব কড়া ভাবে দেখছেন। কাজে দেরি অথবা কাজ না করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে মাইনে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি কর্তারা জানান, ভোটের পরে কাজের চাহিদা তৈরির ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যদের গাফিলতি রয়েছে। কাজে দেরির সেটিও অন্যতম কারণ। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাস। তিনি জানান, সরকারি কর্তাদের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরাও ভোটের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পরে আবার পুরোদমে কাজে মন দিতে হবে। এ দিনের বৈঠকে সেই কথাই জানানো হয়েছে। এ দিন জেলাশাসক জানান, বর্ষার সময়ে চারাগাছ পোঁতা থেকে বাঁধ মেরামতি— এসব কাজকেও একশো দিনের কাজে আনতে হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আমার শৌচাগার প্রকল্পের বাকি থাকা কাজ দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। কারণ আগামী ১৫ অগস্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে খোলা শৌচাগারবিহীন ঘোষণা করার লক্ষ্য নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সাগর এবং পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়াটাই সমস্যা। তাই দ্বিগুণ গতিতে কাজ না করলে লক্ষ্যমাত্রা অধরা থেকে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy