Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Kulpi

কেন আদালত এমন রায় দিল, বুঝুন

১৩ জুলাই আমার দুই দাদা মৃত্যুঞ্জয় ও ধনঞ্জয় অসুস্থ হয়ে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে লালারসের নমুনা দেন। ১৫ জুলাই রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় দাদা মৃত্যুঞ্জয়ের।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বনকুমার হালদার
কুলপি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৩১
Share: Save:

আদালতের রায়ে আমি খুবই খুশি। কারণ, এই রোগকে ঠেকাতে হলে ভিড় এড়াতে হবে সকলকে। দুই দাদাকে হারিয়েছি এই রোগে। আমাদের মতো বহু পরিবার আছেন এ রাজ্যে, যাঁরা স্বজনকে হারিয়েছেন করোনায়।

আমার মনে হয়, সে সব পরিবারের সকলেই আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাবেন।কুলপির চকদুলালপুর গ্রামে থাকি আমরা। ১৩ জুলাই আমার দুই দাদা মৃত্যুঞ্জয় ও ধনঞ্জয় অসুস্থ হয়ে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে লালারসের নমুনা দেন। ১৫ জুলাই রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় দাদা মৃত্যুঞ্জয়ের। আমি নিজে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালের কর্মী। তবু সেই রাতে দাদাকে নিয়ে বহু ছোটাছুটি করতে হয়েছিল।

অ্যাম্বুল্যান্স পাচ্ছিলাম না। অপটু হাতে নিজে অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে দাদাকে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছি। কোথাও ভর্তি করতে পারিনি। ভোরের দিকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান দাদা।

এ দিকে, মেজদা ধনঞ্জয়ের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ওই দিনই। তাঁকে নিয়ে যাই এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। আট দিন লড়াইটা চালানোর পরে সেখানে মারা যান ওই দাদাও। মৃত দাদাকে ভাল করে দেখতেও পাইনি। কাচের দরজা দিয়ে দেখেছিলাম, সারা শরীরটা ঢাকা।

এত ঝড়ঝাপটার পরে তাই বুঝেছি, রোগটা কত ভয়ঙ্কর। ভিড় না এড়াতে পারলে বিপদ হতে পারে যে কোনও মানুষের। সকলকে অনুরোধ, পুজোয় ভিড় করবেন না। রাজ্যের সব থেকে বড় উৎসব নিয়ে আদালতকে কেন এমন রায় দিতে হল, সেটা সকলে বোঝার চেষ্টা করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kulpi High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE