বজবজ স্টেশনে অটোর অপেক্ষায়। —নিজস্ব চিত্র।
চলন্ত ট্রেন থেকে স্টেশনে লাফিয়ে নামছেন যাত্রীরা। নেমেই রুদ্ধশ্বাসে দৌড় রাস্তার দিকে। দৌড়ে সামিল কিশোর, প্রবীণ থেকে মহিলারাও। অন্ধকার ভাঙা রাস্তা পার হতে গিয়ে পড়ে গেলেন এক যুবক। উঠতে সাহায্য করা তো দূরের কথা, পাশ কাটিয়ে চলে গেল ছুটন্ত জনতা।
এ সব কিছুই অটো ধরার জন্য। ছবিটা পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বজবজ শাখার কোমাগাতামারু বজবজ রেল স্টেশনের। এর পরেও অধিকাংশ দিন যাত্রীরা দেখেন অটো নেই। নিত্যযাত্রীরা জানান, প্রায় প্রতি দিনই এমন হয়। সন্ধ্যার পরে বজবজ রেলস্টেশনে ট্রেন ঢোকা মাত্রই যাত্রীরা দৌড়ে নেমে পড়েন। কারণ, লাইনে পিছিয়ে পড়লে অটো পেতে প্রায় তিরিশ মিনিট লেগে যায়।
বজবজ রেল স্টেশনের পাশেই রয়েছে এই অটোস্ট্যান্ড। চড়িয়াল, সুভাষ উদ্যান, বিড়লাপুর যেতে হলে ওখান থেকেই অটো ধরতে হয়। আশেপাশে আর কোনও অটো বা বাসস্ট্যান্ড নেই। প্রতি দিনের এই ভোগান্তিতে নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। নিত্যযাত্রী মহুয়া দাস বলেন, ‘‘যাঁরা ছুটতে পারেন তাঁরা আগে অটো পেয়ে যান। কিন্তু আমরা, যাঁরা পরে আসি, তাঁদের প্রায় তিরিশ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কোনও দিন এসে দেখি স্ট্যান্ডে একটা অটোও নেই। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সঙ্গে বয়স্ক ও ছোটরা থাকলে খুবই অসুবিধা হয়।”
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বজবজ জাতীয়তাবাদী অটো ইউনিয়নের কার্যকরি সভাপতি তথা বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “বজবজ স্টেশন থেকে চড়িয়াল রুটে প্রায় ৩০০টি অটো রয়েছে। সব সময়েই যাত্রীরা অটো পান বলেই জানি। তাঁদের তো কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে কার্যত অটোর আকাল শুরু হয়। পর্যাপ্ত অটো না থাকায় নিয়ম ভেঙে অটোর পিছনে চার জন এবং সামনে চার জন বসেন। অন্য দিকে, গৌতমবাবু বলেন, “স্ট্যান্ডের কাছেই অটো ইউনিয়নের অফিস রয়েছে। সেখান থেকেই সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে বিষয়টি যখন জানলাম অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখব।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অটোয় অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy