Advertisement
E-Paper

একশো দিনের টাকা অমিল, প্রধানকে মারধরের নালিশ

দু’টি পৃথক পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল একশো দিনের প্রকল্পে টাকা না পাওয়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার ক্যানিং ২ ব্লকের তাম্বুলদহ ১ এবং আঠারোবাঁকি গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত সাত মাস ধরে ওই প্রকল্পে পারিশ্রমিক না পাওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় দুই পঞ্চায়েত প্রধানের উপরে তাঁরা চড়াও হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২১

দু’টি পৃথক পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল একশো দিনের প্রকল্পে টাকা না পাওয়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।

বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার ক্যানিং ২ ব্লকের তাম্বুলদহ ১ এবং আঠারোবাঁকি গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত সাত মাস ধরে ওই প্রকল্পে পারিশ্রমিক না পাওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় দুই পঞ্চায়েত প্রধানের উপরে তাঁরা চড়াও হন। এমনকী, ব্লক এলাকার কালীকাতলা ও সারেঙ্গাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই প্রধানকেও বিক্ষোভের মুখে দিন কয়েক ধরে গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সওকত মোল্লা বলেন, “ব্লক এলাকায় ওই প্রকল্পের প্রায় ৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। জেলা থেকে টাকা না আসায় তা মেটানো যাচ্ছে না। ফলে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।”

ওই প্রকল্পের শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, “টাকা চেয়ে বারবার প্রধানদের জানানো হলেও আমাদের দাবিকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে টাল বাহানা করে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তাম্বুলদহ ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ পুরকাইত এবং আঠারোবাঁকির প্রধান জালাল সর্দারের বক্তব্য অনুযায়ী, শ্রমিকদের টাকা মেটানোর জন্য ব্লক অফিসে যোগাযোগ করা হলেও সঠিক সময়ে তারা টাকা পাঠায় না। উপরন্তু শ্রমিকদের কাছে তাঁদেরই হেনস্থা হচ্ছে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক না থাকায় পোস্ট অফিসে বেনিফিশিয়ারিদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কিন্তু পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁদের কম কর্মী সংখ্যার অজুহাতে এ বিষয়ে কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। যার জেরে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

ক্যানিং ২ বিডিও সিরাজ ইব্রাহিম লাখানি বলেন, “টাকা নিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি জেলাতে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অলোকেশপ্রসাদ রায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে পোস্টাল বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

south bengal canning 100 days job
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy