Advertisement
E-Paper

জুতো কেনার টাকা জোগাতে হিমসিম তরুণ

রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে করতেই পড়াশোনা। তার মাঝেই চলত খেলাধূলা। এত অসুবিধার মধ্যেও কঠোর পরিশ্রমে রাজ্য বার্ষিক স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হার্ডল্‌সে প্রথম হয়েছে মহকুমার নেতড়ার আবদুল রহমান সাঁপুই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৪৫
আবদুল রহমান সাঁপুই।

আবদুল রহমান সাঁপুই।

রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে করতেই পড়াশোনা। তার মাঝেই চলত খেলাধূলা। এত অসুবিধার মধ্যেও কঠোর পরিশ্রমে রাজ্য বার্ষিক স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হার্ডল্‌সে প্রথম হয়েছে মহকুমার নেতড়ার আবদুল রহমান সাঁপুই।

কোচবিহারে সবে শেষ হওয়া রাজ্য স্কুল প্রতিযোগিতায় ১৯ বছরের ক্যাটাগরিতে ১১০ মিটার হার্ডলস শেষ করেছে মাত্র ১৫ সেকেন্ডে। সেই রেকর্ডের ভিত্তিতেই স্বর্ণপদক জিতে জানুয়ারিতে রাঁচিতে জাতীয় স্তরের খেলায় যোগ দিচ্ছে আবদুল। কিন্তু এখনও দৌড়নোর জুতো কেনার টাকা জোগাড় হয়নি রাজ্যের প্রথম সারির ওই অ্যাথলিটের। টাকার অভাবে কোনও দিনই আসল হার্ডলস নিয়ে অনুশীলন করার সুযোগ পাইনি রায়নগর ক্ষেত্রনাথ সুনীলবরণ পৌর বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র। বাঁশ দিয়েই অনুশীলন করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজ সে সাফল্যের সিঁড়িতে।

টানাটানির সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় আবদুলের বাবা খয়রুল সাঁপুইকে। তিনি সংগ্রামপুর স্টেশনে কুলির কাজ করেন। বাবাকে সাহায্য করার জন্য এলাকাতেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে সে। ওই কিশোরের কথায়, “আমার তো পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যেত। তার উপরে আবার খেলা। কাজ করি দেখে বাবাকে সাহায্য করতে পারি। পাশাপাশি খেলার খরচও কিছুটা জোগাড় করতে পারি। আর বাকিটা স্কুলের শিক্ষক ও কোচ জোগাড় করে দেন।”

হার্ডলস অনুশীলনের জন্য সে অ্যাথলিট কোচ হিসেবে পেয়েছে তীর্থঙ্কর রায়কে। প্রত্যেক দিন নিয়ম করে বিনা পয়সায় আবদুলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনিই। তীথর্ঙ্করবাবু বলেন, “পুষ্টিকর খাবার পায় না। সে কারণে বেশি ক্ষণ অনুশীলন ওর শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। ওদের সংসারের যা পরিস্থিতি তাতে ভাত আর ভাতের ফ্যান ছাড়া কিছুই জোটে না। এর মধ্যে দরকার খেলার কিটস্, জার্সি, জুতো। এ রকম খেলোয়াড়দের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ভাতা দেওয়া উচিত।” এ প্রসঙ্গে স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক চন্দন রায় বলেন, “একটা ভাল খেলার জুতোর দাম প্রায় ১২০০ টাকা। আমরা সব শিক্ষকেরা মিলে চাঁদা তুলে একটা জুতো কিনে দেওয়ার চেষ্টা করছি।” এর আগে একই ভাবে সাহায্য করা হয়েছিল স্কুলের টিঙ্কু হালদার ও ইয়াসমিনা খাতুনকে। হাজার সমস্যা থাকা সত্ত্বেও নিজের আত্মবিশ্বাসের উপরে নির্ভর করেই এশিয়াডে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে এখন আবদুল।

অসুস্থ পুরপ্রধান। সঙ্কটজনক অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন হাবরা পুরসভার চেয়ারম্যান। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সেরিব্র্যাল অ্যাটাক হয় পুরপ্রধান সুবীন ঘোষের। সে দিনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাবরার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার সকালে বলেন, “সুবীনবাবুর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়েছে।” ২০১৩ সালের ভোটে পুরসভা দখল করে তৃণমূল। ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতেন সুবীনবাবু। ২২ অক্টোবর চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেন তিনি। সে বার পুরসভার ২৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১৬টি, কংগ্রেস পায় ১টি এবং বাকি আসন পায় সিপিএম। পরে কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। হাবরা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক তপতী দত্তকে সরিয়ে সুবীনবাবুকে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল।

abdul rahman sanpui diamond harbour southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy