স্নান করতে গিয়ে পুকুরের তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল দুই আত্মীয়ার। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের ভেবিয়ার কদমতলা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হল অদিতি মণ্ডল (১৫) ও সংযুক্তা মণ্ডল (১৪)। স্থানীয় ভেবিয়া হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত তারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেবিয়ার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা সন্ন্যাসী মণ্ডলের একমাত্র মেয়ে অদিতি। সন্ন্যাসীবাবুর ভাইপো সুব্রত মণ্ডলের বড় মেয়ে সংযুক্তার সঙ্গে তার খুব ভাব ছিল। সাধারণত বাড়ির কলেই স্নান করত তারা। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার আগে দু’জনের বাড়ির কাছের একটি পুকুরে স্নান করতে যাওয়ার ইচ্ছে হয়। কেউই ভাল সাঁতার জানে না। বাড়ির লোকজন বারণও করেছিলেন। ‘কিন্তু এখুনি ফিরে আসব’ বলে গামছা কাঁধে বেরিয়ে যায় দুই কিশোরী। স্কুলের সময় হয়ে এলেও কেউ বাড়ি না ফেরায় অদিতির মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি পুকুর ধারে গিয়ে দেখেন, কেউ কোথাও নেই। পাড়ে শুধু পড়ে আছে দু’টি মেয়ের জুতো।
তাঁর চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়। প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, পুকুরঘাটের কাছেই দু’জনের দেহ জলে ভাসছে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিন হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে মৃত ছাত্রীদের সম্পর্কিত দাদা নিমাই মণ্ডল বলেন, “বাড়ির বাথরুমে কিম্বা কলেই স্নান করত ওরা। কী যে হল, আজ হঠাৎ পুকুরে স্নান করতে গেল। সে সময়ে পুকুর ঘাটেও আর কেউ ছিল না। ঠিক কী ভাবে দু’জনে তলিয়ে গেল, কে জানে!” পুলিশের একাংশের অনুমান, পিছল পুকুর ঘাটে একজন পিছলে পড়ে যাওয়ায় অন্য জন তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করে। তাতে দু’জনই ডুবে যায়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’টি দেহ বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, মেধাবী দুই বোনের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy