Advertisement
E-Paper

পুনর্বাসন প্যাকেজ না জানিয়েই উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত, ক্ষোভ নামখানায়

পুনর্বাসন প্যাকেজ কী হবে, তা জানার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ফের দাবি জানাতে চলেছেন নামখানার ব্যবসায়ী ও পরিবার রক্ষা কমিটি। নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপরে প্রস্তাবিত সেতু তৈরির জন্য উচ্ছেদের নোটিস পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের জন্য এখনও পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করেনি রাজ্য সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৪ ২৩:৫৫
কেউ কেউ নিজেরাই শুরু করেছেন নির্মাণ ভাঙার কাজ। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার।

কেউ কেউ নিজেরাই শুরু করেছেন নির্মাণ ভাঙার কাজ। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার।

পুনর্বাসন প্যাকেজ কী হবে, তা জানার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ফের দাবি জানাতে চলেছেন নামখানার ব্যবসায়ী ও পরিবার রক্ষা কমিটি। নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপরে প্রস্তাবিত সেতু তৈরির জন্য উচ্ছেদের নোটিস পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের জন্য এখনও পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করেনি রাজ্য সরকার।

রবিবার নামখানায় এই কমিটির ডাকা সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামি ২৯ অগস্ট নামখানার বিডিও দফতরে পুনর্বাসন প্যাকেজের দাবি নতুন করে জানানো হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক দীপক মণ্ডল বলেন, “পয়লা অগস্টের আগেই আমরা পুনর্বাসনের প্যাকেজ জানতে চেয়েছিলাম। তা ঠিক না করেই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” নদীর দু’পাড়ে নারায়ণপুর এবং নামখানা মিলিয়ে উচ্ছেদের কোপে পড়েছেন ন’শোর বেশি ব্যবসায়ী এবং পরিবার। কমিটির ডাকা সর্বদল বৈঠকে এ দিন হাজির ছিলেন, সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, দলের নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা বিক্রম গায়েন এবং পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড। সুজনবাবু বলেন, “উন্নয়নের জন্য সেতুর দাবির পাশেই থাকা উচিত সকলের। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পেটে লাথি মেরে উন্নয়ন কাম্য নয়।”

প্রশাসনের তরফে সপ্তাহ খানেক আগে মাইকে প্রচার করে নামখানা রোডের দু’পাশ থেকে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৫ অগস্টের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে কান্তিবাবু বলেন, “পুজোর আগেই ব্যবসায়ীদের উপরে খাঁড়া নামিয়ে চোখের জলে এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। পুনর্বাসন ঠিক করার পরে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।”

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কাকদ্বীপ থানা এবং নামখানা থানা থেকে রোজ তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দোকান সরিয়ে না নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ভীত-সন্ত্রস্ত ব্যবসায়ীদের কয়েক জন গত তিন দিন ধরে নিজেদের দোকান ভাঙতে শুরু করেছেন। কাকদ্বীপের এসডিও অমিত নাথ বলেন, “যেহেতু ওই জমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের, তাই পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তও তারাই নেওয়ার অধিকারী।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক শান্তনু বসু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কবে বৈঠক হবে, তার দিন এখনও ঠিক হয়নি।

discontent namkhana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy