প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে খরচ করতে হয় পড়াশোনার জন্য। অথচ কলেজের স্নাতকোত্তর বিভাগে ন্যূনতম পরিকাঠামোটুকুও নেই বলে অভিযোগ। ফকিরচাঁদ কলেজের চারটি বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা শুক্রবার এ সব নিয়ে বিক্ষোভও দেখালেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়গুলির উপরে তাঁরা নজর দেবেন।
২০০৫ সাল থেকে ফকিরচাঁদ কলেজে খুলে গিয়েছে সেল্ফ ফিনান্সিং স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম। বাংলা, ইতিহাস, এডুকেশন এবং কমার্স এই চারটি বিভাগের ক্লাস করার জন্য সব মিলিয়ে মাত্র ৮টি ঘর বরাদ্দ। যা যথেষ্ট নয় বলেই অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। এডুকেশন বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভঙ্কর খিলা বলেন, “ক্লাস ঘরের অভাবে স্পেশাল পেপারের ক্লাস করা যায় না। পর্যাপ্ত গেস্ট ফ্যাকাল্টিও নেই আমাদের। তা ছাড়া, বিভাগীয় বা কলেজ পত্রিকা, ইন্ডোর গেম, সোস্যাল কিছুই হয় না এখানে। আমরা গত দু’বছরে ১২টি অভিযোগ জমা করেছি। কর্তৃপক্ষ কান দেননি।”
কলেজের স্নাতকোত্তর বিভাগে এখনও কোনও ছাত্র সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। শুক্রবারও ক্লাস ঘরের অভাবে দু’টি ক্লাস না হওয়ার পরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক শিক্ষকদের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। কলেজের এই পাঠ্যক্রমের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, চারটি বিভাগের জন্য পরিস্রুত পানীয় জলের মেশিন রয়েছে মাত্র একটি। পুজোর আগে থেকেই সেটি খারাপ ছিল। সারানোর পরে আবার খারাপ হয়েছে।
কলেজে ভর্তির সময় প্রসপেক্টাসে সরস্বতী পুজোর চাঁদা ধরে ফি নেওয়ার কথা বলা হলেও পুজোর জন্য ছাত্রদের আলাদা করে চাঁদা তুলতেই হয়। তা ছাড়া, ১২ জন গেস্ট ফ্যাকাল্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ভর্তির সময়ে। অথচ আসেন এক জন।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবিগুলি ততটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের কিছু অভিযোগ আছে। গেস্ট ফ্যাকাল্টির সমস্যা কাটাতে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এটা কোনও সমস্যাই নয়।” অন্য সমস্যাগুলির বিষয়ে তাঁর মন্তব্য, “জলের স্তর নেমে যাওয়ায় সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ক্লাস ঘরের সমস্যা মেটাতেও বৈঠক করা হয়েছে। পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy