Advertisement
১৮ মে ২০২৪

রাস্তা নিয়ে সমস্যায় বিক্ষোভ রাস্তা কেটে

ভাঙা কালভার্ট মেরামতি এবং রাস্তার পাশে ড্রেনের গার্ডওয়াল করার দাবিতে রাস্তা কেটে, কালভার্ট উপড়ে ফেলল ক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার সকালে বসিরহাট পুরসভার মন্দির হাটখোলায় এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইটের উপর পিচ-পাথর দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে ভাঙা কালভার্ট মেরামতি না করলে এবং গার্ডওয়াল তৈরি না করলে বর্ষার এলাকা জলে ভাসবে। আগে গার্ডওয়াল তৈরি করা হোক, কালভার্ট মেরামতি হোক, তবেই রাস্তা হবে।

ক্ষুব্ধ জনতা। নিজস্ব চিত্র।

ক্ষুব্ধ জনতা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৯
Share: Save:

ভাঙা কালভার্ট মেরামতি এবং রাস্তার পাশে ড্রেনের গার্ডওয়াল করার দাবিতে রাস্তা কেটে, কালভার্ট উপড়ে ফেলল ক্ষুব্ধ জনতা।

শুক্রবার সকালে বসিরহাট পুরসভার মন্দির হাটখোলায় এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইটের উপর পিচ-পাথর দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে ভাঙা কালভার্ট মেরামতি না করলে এবং গার্ডওয়াল তৈরি না করলে বর্ষার এলাকা জলে ভাসবে। আগে গার্ডওয়াল তৈরি করা হোক, কালভার্ট মেরামতি হোক, তবেই রাস্তা হবে। ক্ষুব্ধ জনতা মন্দির হাটখোলা থেকে টাকি রোড পর্যন্ত রাস্তার চারটি জায়গায় কালভার্ট তুলে, রাস্তা কেটে দেয়। এর জেরে নৈহাটি, ধলতিথা, নলকোড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। বসিরহাটের পুরপ্রধান অতসী আন বলেন, “ওয়ার্ডবাসীদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মন্দির হাটখোলা থেকে টাকি রোড পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার ফুট সংস্কারের জন্য ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বরাত পান ঠিকাদার। গত কয়েক দিন আগে ইটের খোওয়া দিয়ে কাজ শুরু হয়। এ দিন সকালে ওই রাস্তায় কাজ হওয়ার কথা ছিল। সকাল ৯টা নাগাদ কাজ শুরুর জন্য মেশিন নিয়ে আসেন ঠিকাদারের লোকজন। মন্দির হাটখোলা এলাকায় তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে কিছু লোক। তাদের অভিযোগ, পুরসভার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ওই রাস্তার ধারে ড্রেনের গার্ডওয়াল অত্যন্ত জরুরি। কালভার্টগুলিও ভেঙে গিয়েছে। ফলে বর্ষার সময়ে ড্রেন ছাপানো জলে এলাকাবাসীকে ভাসতে হয়। তাই আগে গার্ড ওয়াল তৈরি এবং কালভাট মেরামতি জরুরি।

স্থানীয় সুদীপ্ত শর, কমলেশ মণ্ডল, জয়ন্তী রায় বলেন, “প্রতি বর্ষায় ড্রেন ছাপানো নোংরা জলে এলাকা প্লাবিত হয়। ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়শই সাইকেল, মোটর বাইক, রিকশা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আমাদের দাবি, রাস্তা করার আগে কালভার্ট এবং ড্রেনের গার্ডওয়াল করতে হবে। তা ছাড়া, নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে রাস্তার কাজ করা চলবে না।” কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সুবীর মল্লিক বলেন, “বরাত দেওয়ার সময়ে কালভার্ট কিংবা গার্ডওয়ালের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়নি। এখন ওই সব কাজ করতে বললে তা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। রাস্তার কাজ বন্ধ হওয়ায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

basirhat road
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE